Trolly Bag Madhyamgram: মধ্যমগ্রাম কাণ্ড: পুকুরে পাওয়া এই বঁটিতেই দেহ পিস করেছিল, ওই ট্রলিতে রক্তমাখা শাড়িটি কার?

মধ্যমগ্রামের পিসি শাশুড়ি খুনের ঘটনায় আরও একটি ট্রলির খোঁজ পেল পুলিশ। অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ এবং তার মা আরতি ঘোষ পুলিশি জেরায় একথা স্বীকার করে। বারাসাত আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয় তাদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দ্বিতীয় ট্রলির সন্ধান মেলে।

Advertisement
মধ্যমগ্রাম কাণ্ড: পুকুরে পাওয়া এই বঁটিতেই দেহ পিস করেছিল, ওই ট্রলিতে রক্তমাখা শাড়িটি কার?

মধ্যমগ্রামের পিসি শাশুড়ি খুনের ঘটনায় আরও একটি ট্রলির খোঁজ পেল পুলিশ। অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ এবং তার মা আরতি ঘোষ পুলিশি জেরায় একথা স্বীকার করে। বারাসাত আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয় তাদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দ্বিতীয় ট্রলির সন্ধান মেলে। বুধবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় ফাল্গুনী এবং আরতিকে।

প্রমাণ লোপাটের জন্য দু'টি ট্রলির ব্যবহার?

জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানায়, খুনের জন্য হাতুড়ি, বঁটি এবং একটি ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রমাণ লোপাটের জন্য আরও একটি ছোট ট্রলি ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতে করে রক্তমাখা শাড়ি ফেলা হয়। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় তারা জানায়, ঠিক কোথায় খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের নির্দেশে পুকুরে নামে ডুবুরি। উদ্ধার হয় হাতুড়ি এবং বঁটি। তবে ছুরি এখনও উদ্ধার হয়নি। ছুরি খুঁজতে ফের ডুবুরি নামানো হয়।

একে একে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র তুলে আনছেন ডুবুরি।
একে একে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র তুলে আনছেন ডুবুরি।

উদ্ধার হওয়া দ্বিতীয় ট্রলি

ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় আরও একটি ছোট ট্রলি উদ্ধার হয়। সেই ট্রলি থেকে একটি রক্তমাখা শাড়ি পাওয়া যায়। তবে ওই শাড়িটি কার, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের অনুমান, এটি নিহত সুমিতা ঘোষের শাড়ি হতে পারে। তদন্ত চলছে।

পুলিশ বাহিনী মোতায়েন

ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যারাকপুর ডিএমজি-র বিশেষ টিম রয়েছে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণ চলাকালীন অসুস্থ বোধ করে আরতি ঘোষ। পুলিশ আধিকারিকরা তাকে একটু বসার সুযোগ দেন। এরপর তার মাথায় জল দিয়ে হাত বোলাতে দেখা যায় মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে। 

অসুস্থ বোধ করে আরতি ঘোষ। মাথায় হাত বোলাচ্ছে মেয়ে।
ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে আরতি ঘোষ।



প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাতটায় মাস্ক পরে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে কুমোরটুলি ঘাটে হাজির হয়েছিল ফাল্গুনী ও আরতি ঘোষ। ব্যাগটি এত ভারী ছিল যে মা-মেয়ে মিলে সেটি টানতে হিমশিম খাচ্ছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি নজরে রাখেন। ব্যাগের ভিতরে কী আছে জানতে চাইলে প্রথমে জানানো হয়, সেটি কুকুরের দেহ।

Advertisement

কিছুক্ষণ পরই দু'জনে মিলে গঙ্গায় কিছু ফেলতে গেলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। ব্যাগ খুলতেই দেখা যায়, কাপড়ে মোড়া পচাগলা দেহ। পুলিশ এসে মা-মেয়েকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের বয়ান বারবার বদলাতে দেখা যায়। কখনও বলেন কুকুরের দেহ, কখনও পিসিশাশুড়ির দেহ, কখনও আবার ননদের। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাগের ভিতরে ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষের দেহ রয়েছে। 

POST A COMMENT
Advertisement