জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্কর। তিনি এলাকায় সিপিএম নেতা বলেই পরিচিত। নদিয়ার রানাঘাট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাডা়ও আটক করা হয়েছে আরও ৪ জনকে। তাঁদের পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি।
গত সোমবার দীপাবলির দিন ভোরে নামাজ পরার জন্য বের হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে ধরে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। গুলির শব্দ শুনেই লোকজন ছুটে আসে এবং সাইফুদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জয়নগর এক নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে যায় দুজন দুষ্কৃতী। মারধরের চোটে তাঁদের মধ্য়ে একজনের মৃত্যু হয়। তার নাম সাহাবুদ্দিন লস্কর। অন্য অভিযুক্ত সাহারুল শেখকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। মূল খুনের ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠে সিপিএম নেতা আনিসুর লস্করের বিরুদ্ধে। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, সেখানেও নাম রয়েছে এই আনিসুরের। ঘটনার পরই তিনি পালিয়ে যান। দলুয়াখাকির বাসিন্দা ছিলেন আনিসুর। ওই এলাকায় পাল্টা হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আনিসুর-সহ ১৬ জন সিপিএম কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই তাঁকে পাকড়াও করা হয়। আরও ৪ জনকে রানাঘাট, হরিণঘাটা থেকে আটক করা হয়েছে।