আবারও বাংলায় ভয়াবহ খুনের ঘটনা। এ বার স্ত্রী ও ছেলেকে খুনের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর যেমন তেমন নয়, একবারে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে খুনের অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামালপুরে। ঘটনার পরই পলাতক সেই ব্যক্তি। এখনও অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। চলছে তল্লাশি।
সূত্রের খবর, মৃত মহিলার নাম মনোয়ারা বিবি। বয়স ৪০। অপরদিকে ছেলের বয়স ৭ বছর। নাম আনোয়ার হালদার। সকাল থেকে কাউকে দেখা যায়নি বাড়িতে। তাই প্রতিবেশীরা বাড়িতে খোঁজ করেন। তখনই এই দুইজনের রক্তক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তারা মৃতদেহ দেখার পরই পুলিশকে খবর দেয়। খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে উপস্থিত হয় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে। তার পর দেহগুলিকে পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য।
চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত ও মৃতের পরিবারের অনেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের কাছ থেকেই মূলত পুলিশ খুনের কারণ বোঝার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেমন সম্পর্ক ছিল, সেটাও জানতে চাইছে পুলিশ।
পারিবারিক অশান্তির জেরেই খুন
আপাতত প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে। তার পর পুলিশের অনুমান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘকালীন বিবাদের জন্যই খুন।
পুলিশ মনে করছে, অভিযুক্ত প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্ত্রী ও সন্তানকে। তার পর দু'জনের গলায় ব্লেড চালানো হয়।
এখনও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তের
ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও তার খোঁজ এখনও মেলেনি।
এখনও সব পরিষ্কার নয়
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর বিবাদের অনুমান হলেও এখনও তদন্ত প্রয়োজন। তারপরই খুনের আসল কারণ সামনে আসবে বলে মনে করছেন তারা। তাই এখনও চলছে তদন্ত।
ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়
এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই এলাকায় রয়েছে চাঞ্চল্য। এলাকাবাসীর মন থেকে এই ঘটনার ভয়াবহতা এখনও কাটেনি। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যাতে দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হয়, তার দাবি জানাচ্ছেন।