ফের খুন লিভ ইন পার্টনার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু’টি খুনের ঘটনা। একটি হয়েছে দিল্লিতে অন্যটি মহারাষ্ট্রের পালঘরে। দু’টি ঘটনাতেই রয়েছে দিল্লির কুখ্যাত শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া। দু’টি ঘটনাতেই খুন হয়েছেন লিভইন সঙ্গিনী। খুন করেছেন প্রেমিকরাই। একজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে ফ্রিজের ভিতর। অন্য জনের দেহ ঢুকিয়ে রাখা ছিল বিছানার গদির ভিতরে। দিল্লির একটি ধাবার ফ্রিজারে এক ২৬ বছরের তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই প্রকাশ্য এসেছে দ্বিতীয় ঘটনাটি।
মঙ্গলবার নালাসোপাড়ায় তার ৩৫ বছর বয়সী লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের অভিযোগে ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পালঘর জেলার তুলিঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হার্দিক শাহ মেঘ ধন সিং তোরভির সঙ্গে নালাসোপাড়ার সীতা সদন সোসাইটিতে বিবাহিত পরিচয়ে থাকতেন। নালাসোপাড়ার বিজয় নগর এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মেঘার গলিত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। মৃতদেহটি বিছানার গদিতে ঠাসা অবস্থায় পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে খুনটি করা হয়েছে বলে সন্দেহ। মেঘার লিভ-ইন পার্টনারকে মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মহারাষ্ট্রের ওই মৃতা যুবতীর নাম মেঘা শাহ। পালঘরে একটি আবাসনের ভিতরে একটি ফ্ল্যাটের শোবার ঘরের বিছানার গদির ভিতর থেকে ওই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি পচে গলে গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছিল। পাড়া-প্রতিবেশীরাই খবর দেন পুলিশকে।
পুলিশ তদন্ত করে জেনেছে, দিন সাতেক আগেই ওই আবাসনে থাকতে এসেছিলেন মেঘা। ভাড়ায় নিয়েছিলেন ঘর। তাঁর সঙ্গে থাকছিলেন তাঁরই প্রেমিক এবং একত্রবাসী সঙ্গী হার্দিক। বয়সে মেঘার থেকে বছর তিনেকের ছোট হার্দিক। প্রতিবেশীরা কথাবার্তায় জেনেছিলেন গত ছ’মাস ধরেই সম্পর্কে রয়েছেন দু’জনে। তারপরই এই ঘটনা।
গত দু’দিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না হার্দিকের। পুলিশ মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে। মধ্যপ্রদেশের একটি রেলস্টেশনে তাঁকে ধরে রেলপুলিশ। পরে মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে তুলে দেয়। জেরায় প্রেমিকাকে খুনের কথা স্বীকারও করেছেন বছর ৩৭-এর মারাঠি যুবক হার্দিক। পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে এবং কেন তিনি প্রেমিকাকে খুন করেছিলেন, তা-ই জানার চেষ্টা করছে তারা। জেরায় উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।
আরও পড়ুন-প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল সাহিল, দিল্লি খুনের পর্দা ফাঁস