পুজোর মধ্যেই সাংসদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা প্রতারণা। নিজের বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন সাংসদ। আর এই ঘটনায় রীতিমতো উৎসবের আমেজে চাঞ্চল্য ছড়াল।
সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকার প্রতারণা। নিজের বাড়ি থেকে এক প্রতারককে পুলিশের হাতে তুলে দিল রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। জানা যায়, প্রকাশ রায় নামে এক ব্যক্তি রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বাড়িতে আসে।
সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বাড়িতে দাবাড়ুর ছদ্মবেশে ধরা পড়ে প্রতারক। বিদেশে খেলতে যাওয়ার নাম করে একাধিকবার অর্থ নিয়েছিল সে। ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায় দাবা খেলোয়াড় হিসেবে তার কোনও অস্তিত্ব নেই। সাংসদের অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে।
জগন্নাথ সরকারের বাড়িতে এসে ওই ব্যক্তি আর্থিক সাহায্যের কথা জানান। নিজেকে সে দাবাড়ু পরিচয় দেয়। সেই কারণেই সাংসদের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে আর্থিক সাহায্যের দাবি করে অভিযুক্ত। জগন্নাথ সরকারের দাবি, এর আগে ওই ব্যক্তি তার কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে গেছে। কিন্তু এদিন এসে আবার বলে ৩৫ হাজার টাকা কম পড়ছে। তার অঙ্গভঙ্গি এবং কাগজপত্র দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। এরপরই তাকে প্রশ্ন করা হয়। যারা জগন্নাথ সরকারের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল তাদেরকে বিষয়টি অন্যভাবে দেখার জন্য সাংসদ বলেন।
এরপরে বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে জগন্নাথ সরকার বুঝতে পারেন ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। আসলে এই ব্যক্তি কোনও দাবা খেলার সঙ্গে যুক্ত নেই। টাকা নিয়ে পুরোটাই প্রতারণা করছে। পাশাপাশি তিনি জানতে পারেন এই ব্যক্তি আদতে জুয়ারু। এরপরই শান্তিপুর থানার পুলিশকে খবর দেন তিনি।
অন্যদিকে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি অসুস্থতার ভান করতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত প্রকাশ রায়কে থানাই নিয়ে যায় পুলিশ। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রকাশ রায় কোন কথা বলতে চাইনি। সেই ছবিও দেখাবো আপনাদের।
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, বেশ কয়েকবার দোস্ত খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ করার নাম করে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। সে আবারও এসে আমার কাছে টাকার দাবি করে। তবে আমার সন্দেহ হয়েছিল এই ব্যক্তি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। সেই কারণে আমি তদন্তের নির্দেশ দেই এবং জানতে পারি এই একটা আদতে প্রতারক। সেই কারণে আমি তাকে আইনের হাতে তুলে দিয়েছি। আশা রাখছি প্রশাসন সম্পূর্ণ তদন্ত করবে।