দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে বউমাকে নাচতে বারণ করেছিলেন শ্বশুর। আর তার জেরে খুন হতে হল তাঁকে। ঘটনায় অবাক পুলিশকর্তারাও। খুনে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির স্ত্রী, ছেলে ও নাতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মৃতের নাম রামরতি বিশ্বকর্মা। মধ্যপ্রদেশের মউগঞ্জের বাসিন্দা রামরতি বাড়িতেই থাকতেন স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতির সঙ্গে। সেখানেই তাঁকে খুন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই পাড়াতেই একটি দুর্গাপুজো হয়েছে। সেই পুজো প্যান্ডেলে নাচ করতে চেয়েছিলেন রামরতির বউমা। তবে তাতে আপত্তি তোলেন ওই ব্যক্তি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন পাড়ায় নাচা যাবে না।
প্রথমে রামরতির সঙ্গে তাঁর বউমার ঝামেলা হয়। সেই বিবাদ ক্রমশ বাড়তে থাকে। এক সময় পরিবারের বাকি সদস্যরা রামরতির বিরোধিতা শুরু করেন। ওই বৃদ্ধের স্ত্রী, ছেলে ও নাতি মারতে উদ্যত হয়। অভিযোগ, ওই তিনজন মিলে রামরতিকে চ্যালা কাঠ দিয়ে মাটিতে ফেলে পেটায়। তাতে গুরুতর জখম হন সেই ব্যক্তি। তিনি ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। সেখানেই মারা যান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের ছেলের নাম বেদপ্রকাশ। তাঁর ছেলে সোনু। এই দুজন মূল অভিযুক্ত। ঘটনার পুলিশ সেখানে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দেহ ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা, নেপথ্যে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামালা রুজু করা হয়েছে। কোর্টে তোলা হবে।