প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আত্মসমর্পণ রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। শনিবার ইডির বিশেষ আদালতে তিনি হাজিরা দেন। তাঁকে সাতদিনের জন্য হেফাজতে চায় ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, চন্দ্রনাথ সাক্ষীদের প্রভাবিত করছেন। মন্ত্রীর আইনজীবী সাতদিনের সময় চেয়েছেন। আদালত আপাতত তাঁকে শর্তসাপেক্ষে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দিয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে হবে চন্দ্রনাথকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর।
প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। চন্দ্রনাথের চার্জশিটে নাম থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারছিল না ইডি। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেন। সেই তথ্য পেশ করার পরই কারামন্ত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালত ইডিকে নির্দেশ দেয়, চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে সমন জারি করতে হবে।
চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে ইডির অভিযোগ ছিল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ তারা পেয়েছে। তবে প্রায় দেড় কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে সেখানে। কিন্তু অত টাকা কীভাবে সেই অ্যাকাউন্টে এল তার জবাব দিতে পারেননি মন্ত্রী।
এর আগে কারামন্ত্রীর বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালায়। অভিযোগ, চন্দ্রনাথের অ্যাকাউন্টে যখন টাকার সন্ধান মেলে তখন প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের ডায়েরিতে মন্ত্রীর নাম ছিল। তার পাশে টাকার অঙ্কও বসানো হয়েছিল। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বা কালীঘাটের কাকু সহ একাধিকজনকে। সেই তালিকাতে রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথও।