সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল যুবতীর সঙ্গে। সেই সম্পর্ক গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। সঙ্গমও করেন তাঁরা। কিন্তু ওই যুবতী যে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য সবটাই পরিকল্পনামাফিক করছেন, তা তখনও জানতেন না চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট। কয়েকদিন পর থেকেই আর এক সঙ্গীকে নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন সেই যুবতী। চেয়ে বসেন ৩ কোটি টাকা। তা দিয়েওছিলেন সেই চ্যাটার্ড অ্য়াকাউন্ট। কিন্তু টাকার দাবি বাড়তেই থাকে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন তিনি। ঘটনা মুম্বইয়ের সান্তাক্রজের। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ২ অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। তাদের খোঁজ চলছে।
মৃত যুবকের নাম রাজ মোরে। নিজেরই ফ্ল্যাটে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে দুজনের নাম মিলছে। ওই যুবক লিখে গিয়েছেন, সাবা কুরেশি ও রাহুল পর্নওয়ানি নামের দুইজন তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। ৩ কোটি টাকা দাবি মতো দেওয়ার পরও চাপ কমেনি। তবে আর টাকা দিতে পারেননি তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ২ বছর আগে সাবা কুরেশির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় রাজ মোরের। দুজনের মধ্যে কথাবার্তা বাড়তে থাকে। একসময় তাঁরা শারীরিক সম্পর্কও করেন। তবে রাজকে না জানিয়ে সেই ভিডিও তুলে রখে আর এক অভিযুক্ত। সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে সাবা ও রাহুল ব্ল্যাকমেল শুরু করে রাজকে। দাবি করে বসে ৩ কোটি টাকা। এও জানিয়ে দেয়, টাকা না দিলে সঙ্গমের ভিডিও লিক করে দেবে। দাবি মতো ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়ও।
তবে প্রথমদিকে এই হুমকিকে সেভাবে গুরুত্ব দেননি রাজ। কিন্তু একদিন রাজের ফ্ল্যাটে পোঁছে যায় অভিযুক্তরা। তাঁর মায়ের সামনে হুমকি দেওয়া হয়। তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রাজ। তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ফ্ল্যাট থেকেই রাজের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ৩ কোটি টাকা জোর করে নেওয়ার অভিযোগ রুজু হয়েছে।