প্রতীকী ছবিনদিয়া হাঁসখালি ধর্ষণ-খুন মামলায় সিবিআইয়ের বড় পদক্ষেপ। শুক্রবার একজন তৃণমূল নেতা সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তথ্য অনুযায়ী, TMC-র স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতা সমরেন্দ্র গয়ালি, যিনি মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালির বাবা, সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। সমরেন্দ্র গয়ালির ঘনিষ্ঠ পীযূষ ভক্তকেও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
সমরেন্দ্র গয়ালির গ্রেফতারির পর অনেক তথ্যই আসতে পারে সিবিআইয়ের হাতে। এর আগে গত মঙ্গলবার সমরেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে সিবিআই। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। অবশেষে আজ গ্রেফতারি।
হাঁসখালি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট-এর রায়ে তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়। নির্যাতিতার শেষকৃত্য কেন তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে, সেই রাতে নির্যাতিতাকে সমরেন্দুর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিনা। শেষকৃত্যের সময় পুলিশের কোনও আধিকারিক ছিলেন কিনা।
কী ঘটেছিল সেদিন?
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নাবালিকা প্রেমিকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে, মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। ঘটনাটি ঘটে, নদিয়ার হাঁসখালি থানার গাজনা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রেমিক সোহেল গয়ালি ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক ছিল। ঘটনার পাঁচদিন পর রাতে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের চাপে ময়নাতদন্ত না করিয়ে তড়িঘড়ি দেহ শেষকৃত্য করে নাবালিকার পরিবার।
হাঁসখালি-কাণ্ডের ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তিনি জানান,'এই দেখাচ্ছ তোমরা (সংবাদ মাধ্যম) একটা বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে দিয়েছে। এটাকে আপনি ধর্ষণ বলবেন না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মৃত্যু না লভ অ্যাফেয়ার বলবেন! তদন্ত করেছেন? আমি পুলিশকে জিজ্ঞেস করলাম। ঘটনাটা খারাপ গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির লভ অ্যাফেয়ার ছিল বলে শুনেছি।'