হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। আজই মৃতার বাড়িতে যাওয়ার কথা সিবিআই-এর তদন্তকারীদের। তবে তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ও পরে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা মোট ২।
অন্যদিকে এই ঘটনায়, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্নমহলে। সোমবার এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনি রেপড বলবেন, না প্রেগন্যান্ট বলবেন, না লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন, এটা এনকোয়ারি করেছেন কি? আমি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলাম, ঘটনাটা খারাপ। অ্যারেস্ট হয়ে গেছে। তবে ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল শুনেছি।" মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন মৃতার বাবাও। মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এমন কথা বললেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র অবশ্য এই ঘটনাকে 'ভয়াবহ' বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাঁসখালিতে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন মহুয়া। তিনি বলেন, "ভয়াবহ ঘটনা বর্ণনা করার মতো কোনও শব্দ নেই। অভিভাবকরা এখনও হতবাক। আমি পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি যে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আইনের পূর্ণ প্রয়োগ করা হবে।"
ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। আদালতের এই নির্দেশে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক সিবিআই, এখন এমনটাই চাইছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। এদিকে বগটুইয়ের মতো এই ঘটনাতেও ৫ সদস্যদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই কমিটিকে রয়েছেন, রেখা ভার্মা, বেবিরানি মৌর্য্য, ভানাথি শ্রীনিবাসন, খুশব সুন্দর এবং রূপমিত্রা চৌধুরী। শীঘ্রই ঘটনার রিপোর্ট পেশ করবে কমিটি।