scorecardresearch
 

NEET: ১৫ জনকে নিয়ে ২ দিন ধরে উত্তর মুখস্থ করিয়েছিল প্রশ্নফাঁস চক্র, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

NEET পেপার ফাঁস মামলায় বড় ঘটনা, 2 দিন ধরে 'সেফ হাউস'-এ কী হয়েছিল, পুরো ঘটনা জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী

Advertisement
আশুতোষের অজান্তেই ঘটে পেপার ফাঁস চক্রের কুকর্ম! আশুতোষের অজান্তেই ঘটে পেপার ফাঁস চক্রের কুকর্ম!

NEET Paper Leak: ডাক্তারি প্রবেশিকার আগে ২ দিন ধরে হোস্টেলে আস্তানা। সেখানে একসঙ্গে বসিয়ে সবাইকে মুখস্থ করানো হয়েছিল প্রশ্নপত্র-উত্তর। NEET পেপার ফাঁসের তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।আন্ডারগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার(NEET UG ০৪ মে ২০২৪) ঠিক একদিন আগে কিছু পরীক্ষার্থীদের এই 'সেফ হাউসে' (ছোটদের একটি প্লে স্কুল) রাখা হয়েছিল। সেখানে বসিয়ে বসিয়ে তাঁদের আগেভাগেই প্রশ্নপত্র এবং তার উত্তর মুখস্থ করানো হয়েছিল। আশুতোষ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে সেই হোস্টেলে এসে থেকেছিল প্রশ্ন-ফাঁস গ্যাং ও পরীক্ষার্থীরা। বলা হয়েছিল, পরীক্ষার আগে রাতে কয়েকজন পরীক্ষার্থী এসে থাকবেন। গোটা বিষয়টাই আজতককে জানালেন সেই আশুতোষ।

৪ মে রাতে ৫-৭ জন পরীক্ষার্থী এসেছিল, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ১৫-র বেশি
 

আশুতোষ জানালেন, NEET পরীক্ষার এক দিন আগে, তাঁর এক বন্ধু ৫-৭ জন ছেলেকে নিয়ে তাঁর কাছে আসেন। এরপর ৫ মে সকালে, ১৫ জনেরও বেশি NEET পরীক্ষার্থী ঘরে থাকছিলেন। আশুতোষ বলেন, 'মণীশ (আশুতোষের বন্ধু) আমাকে বলেছিল যে ওর চেনা কিছু পরীক্ষার্থী আছে, আগামীকাল NEET পরীক্ষা আছে, ওদের একটু রাত থাকতে দাও, সকালেই চলে যাবে। আমি বললাম প্রভাত ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি।'

আশুতোষ আরও জানান, 'রাত ১১টায় মনীশ ৫-৭টা ছেলেকে নিয়ে এসেছিল। পরের দিন, ৫ মে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ১৫ জনের বেশি ছেলে এসে হাজির। ৫ মে সকাল ১০টা পর্যন্ত সবাই রুমেই বসে ছিলেন। মণীশের হাতে একটা কাগজের ফটোকপি ছিল। উনি সব পরীক্ষার্থীকে কাগজের প্রিন্ট আউট বিলি করছিলেন। এরপর মণীশ সবাইকে পেছনের ঘরে নিয়ে গেলেন। বেশ তৎপরতা ছিল।'

পরীক্ষার দিন আশুতোষ জামশেদপুর গিয়েছিলেন

আশুতোষ আরও জানান, '৫ মে দুপুর ১২টা নাগাদ সবাই চলে গিয়েছিল। এরপর ৫ তারিখ জামশেদপুরে গিয়ে জানতে পারি ওই রুমে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের খবর শুনে আমি মোবাইল বন্ধ করে দিই। পরে আমি আমার স্ত্রীর ফোনে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলি। আমার ভাইকে বললাম, আমার খুব বড় একটা ভুল হয়ে গিয়েছে।

'সেফ হাউস' ভাড়ার দলিল

Advertisement

এর আগে, 'সেফ হাউস' (প্লে স্কুল)-এর ভাড়ার দলিল প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায় রেনু কুমারী ও তাঁর স্বামী প্রভাত কুমার এই বিল্ডিংটি ভাড়া দিয়েছিলেন। বিল্ডিং প্রতি মাসে ভাড়া ছিল ৫০০০ টাকা।

ইইউ তদন্তে 'সেফ হাউস' প্রকাশ পেয়েছে

বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস ইউনিট (EU) নয়জন পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি বিহারের আরও চারজন পরীক্ষার্থীর বিষয়ে তদন্ত করছে। এরাই ৫ মে পরীক্ষার একদিন আগে পাটনার কাছে একটি 'সেফ হাউসে' পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং উত্তর পেয়েছিলেন। এদের EOU গ্রেপ্তার করেছে।

‘সেফ হাউস’ থেকে পাওয়া গিয়েছে পোড়া কাগজপত্র

EOU ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মানবজিৎ সিং ধিলোন জানান, NEET প্রশ্নপত্র এবং উত্তর মুখস্ত করানোর বিনিময়ে লেনদেনের প্রমাণও পাওয়া গেছে। তদন্তের সময় ছয়টি পোস্ট-ডেটেড চেকও উদ্ধার করা হয়েছে। সেফ হাউস থেকে আংশিক পুড়ে যাওয়া প্রশ্নপত্রও উদ্ধার করেছেন ইইউ আধিকারিকরা।

NEET পেপার ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছিল

জিজ্ঞাসাবাদে, আটক পরীক্ষার্থীরা জানায়, তাদের মা-বাবা পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র কেনার জন্য মাথাপিছু ৩০ লাখ টাকারও বেশি করে দিয়েছিল।

Advertisement