নয়ডায় গৃহবধূকে জ্ব্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বিপিনের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেল পুলিশ। সূত্রের খবর, দির্ঘদিন ধরেই স্ত্রী নিকির সঙ্গে ঝামেলা চলছিল বিপিনের। এতদিন পর্যন্ত জানা গিয়েছিল, পণের জন্য স্ত্রীর উপর চাপ দিত বিপিন। কিন্তু তদন্তকারীরা সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল বিপিন। আর তা জেনেও যান নিকি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের অক্টোবরে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিকি। দাবি করেছিলেন, বিপিন অন্য এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখে। সেটা তিনি ও তাঁর বোন জানতে পারেন। হাতেনাতে বিপিনকে ধরেনও।
সূত্রের খবর, সেই ঘটনার পর থেকে নিকির উপর অত্যাচার বাড়তে থাকে শ্বশুরবাড়িতে। একদিন স্ত্রী নিকিকে গ্রামের বাড়ির থেকে দূরে নিয়ে যায় বিপিন। সঙ্গে ছিল তার বন্ধু তুষার। তারা গাড়ির ভিতর নিকির উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালায়। খুনের হুমকিও দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ তারিখ অগ্নিদগ্ধ নিকিকে ফোর্টিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেদিন গায়ে আগুন লাগার কারণ হিসেবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বলা হয়েছিল। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বোতল ও লাইটার উদ্ধার করে। পরে তদন্তে জানা যায়, কেউ বা কয়েকজন মিলে নিকির গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বিপিনের বাড়ির সদস্যরা। দাবি করেন, তাঁরাই নিকিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে নিকির বোন কাঞ্চন জানান, ভিডিওটি ১১ ফেব্রুয়ারির। তবে পুলিশ সেই ফোন তদন্ত করে জানতে পারে, ভিডিওটি সেদিনের।
নিকির পরিবারের যদিও প্রথম থেকেই অভিযোগ, পণের জন্য চাপ দেওয়া হত নিকির উপর। তাঁকে পার্লার খুলতে দিতে চায়নি বিপিন। তা নিয়ে বচসা হয়েছিল। তারপরই সে নিকির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে নয়া তথ্য হাতে আসার পর এই মামলার মোড় ঘুরতে পারেন বলেও মনে করছে পুলিশ। পণ ছাড়়াও বিপিনের সিক্রেট জেনে যাওয়ার খেসারতই নিকিকে দিতে হল কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আরও তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।