Panagarh Accident Case: কীভাবে মদ্যপ যুবকরা গাড়ি ধাওয়া করছিল? মৃত তরুণীর গাড়ির চালক সব জানালেন

চন্দননগরের তরুণীর গাড়ি ধাওয়া কাণ্ডে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে মত্ত যুবকদের তাণ্ডবে পানাগড়ে প্রাণ হারান নৃত্যশিল্পী। সংবাদমাধ্যমে মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন মৃতার সহকর্মী ও গাড়ির চালক। রবিবার গভীর রাতে গয়ার উদ্দেশে রওনা হন চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (২৬)। এরপরই চরম পরিণতি।

Advertisement
কীভাবে মদ্যপ যুবকরা গাড়ি ধাওয়া করছিল? মৃত তরুণীর গাড়ির চালক সব জানালেনসুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়

চন্দননগরের তরুণীর গাড়ি ধাওয়া কাণ্ডে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে মত্ত যুবকদের তাণ্ডবে পানাগড়ে প্রাণ হারান নৃত্যশিল্পী। সংবাদমাধ্যমে মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন মৃতার সহকর্মী ও গাড়ির চালক। রবিবার গভীর রাতে গয়ার উদ্দেশে রওনা হন চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (২৬)। এরপরই চরম পরিণতি।

কী হয়েছিল সেই রাতে? 

গাড়ির চালক রাজদূত শর্মা বলেন, "রাত সাড়ে ১২টায় আমরা চন্দননগর থেকে ফিরে গয়া যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। এটা পুরানো হাই রোডে ঘটেছে যেখানে একটি পেট্রোল পাম্প আছে যেখানে তেল ভরান। আমাদের ম্যাডাম পেমেন্ট করেন। গাড়িটি আধা কিলোমিটারও ছুটতে পারেনি তখন আরেকটি সাদা গাড়ি আমাদের বাঁ দিকে ধাক্কা দিয়ে ডিভাইডারের ওপরে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পারেনি। আমি থানায় যাওয়ার রাস্তা ধরলাম তারপর গাড়িটি আবার আমাদের ধাক্কা মারে। তখনই ম্যাডাম মারা যান। পিছনের সিটে তিনজন আর ম্যাডাম আর আমি সামনে। অন্য গাড়িটিতে ৫ জন ছিল। অশ্লীব অঙ্গভঙ্গি করছিল।"

গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী মন্টু মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, "বুদবুদ থানা এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে তেল ভরার জন্য গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে বেরোনোর পরই গাড়ির পিছনে ধাওয়া করতে থাকে মত্ত যুবকেরা।"

রাস্তাও ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে ওদের গাড়িটা বেরিয়ে যায়। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ম্যাডামের দিকে হাত নেড়ে অশ্লীল ইঙ্গিত করছিল ওরা এই দাবিও করেন। তিনি আরও বলেন, "গাড়িতে ম্যাডাম রয়েছেন। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর পর ওরা পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়। গাড়ি থামালে ওরা ম্যাডামকে নামিয়ে তুলে নিয়ে চলে যেতে পারত।"

আরও জানা যায়, পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই গাড়িটি কাছাকাছি চলে আসে। তারপরই তরুণীর গাড়িতে ধাক্কা মারে। মত্ত যুবকদের হাত থেকে বাঁচতে অন্য রাস্তা নেন মন্টুরা। ওই রাস্তাতেও পিছু নেয় তারা। টানা ধাক্কা মারতে থাকে। জাতীয় সড়কে ওঠার আগেই উল্টে যায়া তাদের গাড়ি। ওখানেই মারা যান তরুণী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় পেশায় নৃত্যশিল্পী ছিলেন। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ চন্দননগরের নাড়ুয়া রায়পাড়া থেকে গয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। মধ্যরাতে বুদবুদ এলাকার একটি পেট্রল পাম্পে গাড়িটি থামালে কয়েক জন মত্ত যুবক গাড়িতে থাকা যাত্রীদের উদ্দেশে কটূক্তি করতে শুরু করে। এরপর তারা নিজেদের গাড়িতে উঠে সুতন্দ্রাদের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্কিত চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলে মত্ত যুবকদের গাড়ি সেটিকে ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি প্রথমে রাস্তার ধারের একটি দোকানে, পরে একটি শৌচাগার ও লোহার যন্ত্রাংশের স্তূপে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে এবং উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার।

POST A COMMENT
Advertisement