রবিবার সকালে সলমন খানের বাড়ির বাইরে হঠাৎ তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ভোর ৪.৫০ মিনিটে অভিনেতার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে গুলি চালায়। উভয় বন্দুকধারী বাইকে করে আসে। হাওয়ায় গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। দু'জনেরই হেলমেট পরা ছিল। যার কারণে তাদের শনাক্ত করা যায়নি।
তবে দুই হামলাকারীর নতুন ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে গুলি চালানো দুই হামলাকারীকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কালো ও সাদা টি-শার্টে একজন হামলাকারীকে দেখা যাচ্ছে। অপরজন লাল টি-শার্টে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এই ছবি পাওয়া গিয়েছে। ছবির ভিত্তিতে দু'জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বন্দুকধারীদের সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছে।
সূত্রের খবর, সলমন খানের বাড়িতে যে শ্যুটাররা গুলি চালিয়েছিল, তারা হরিয়ানা ও রাজস্থানের হতে পারে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত রাজস্থানের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার এই গ্যাং শ্যুটারদের পাঠিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রোহিত গোদারার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের নোটিশও জারি করা হয়েছে। রাজস্থানের গোগামেডি হত্যাকাণ্ডে রোহিত গোদারার নাম ছিল অভিযুক্তের তালিকায়। মুম্বই পুলিশের পর দিল্লি পুলিশও দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে। দুই হামলাকারীর ছবি সব থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বান্দ্রা পুলিশ দুই অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসি 307 ধারা (খুনের চেষ্টা) এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে। সলমন খানের নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে মুম্বই পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। সূত্রের খবর, বন্দুকধারীরা বান্দ্রায় বাইক রেখে রিকশায় করে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা এতক্ষণে মুম্বই ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
উল্লেখ্য, সলমন গত কয়েক বছর ধরে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাছ থেকে খুনের হুমকি পাচ্ছেন। ফলে অভিনেতার বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর বিষয়টি বেশ গুরুতর।
সলমনের বাড়ির বাইরে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারা দেয়। সলমনকে একটি ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্সও দেওয়া হয়েছে। তিন শিফটে তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২৪ ঘণ্টা কড়া পুলিশি নিরাপত্তা থাকে।