বাড়ির লকার থেকে ২১ লক্ষ টাকা সরিয়ে খরচ করে ফেলল ছেলে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান কালনায়। বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে দোকানে গিয়ে লক্ষাধিক টাকার পিৎজা খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বাড়ির ছেলের বিরুদ্ধে।
পরিবারের অভিযোগ, ছেলেকে ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে এলাকারই কিছু মানুষের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের দাবি, একসঙ্গে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে পিৎজা খাওয়া সম্ভব নয়।
বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পিৎজার দোকানের ম্যানেজারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে একসঙ্গে এত টাকা বাড়িতে রাখার বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
মঙ্গলবার বাড়ির লোক বাড়ির লকার খুলে দেখেন সেখান থেকে ২১ লক্ষ টাকা উধাও। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। ওই পিৎজার দোকানের ম্যানেজারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে কালনা থানার পুলিশ। ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ওই পিৎজার দোকানের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। ছেলেটির পরিবারের লোকজন-সহ এলাকাবাসীরাও থানার সামনে গিয়ে হাজির হন শুক্রবার। জানা গেছে, কালনার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা এলাকার ওই পরিবার একটি জায়গায় বাড়ি বিক্রি করে বেশ কিছু টাকা সহ তাদের জমানো প্রায় ২৫ লক্ষের বেশি টাকা তাঁরা আলমারির লকারে রেখেছিলেন। বাড়ির ছেলে কালনা শহরের নামি পিৎজার দোকানে গিয়ে প্রতিদিনই দু- তিন হাজার টাকা করে খরচ করত। এমনকি পিৎজার দোকানের ওপরের পুরো অংশও বুক করে নিত ওই ছেলেটি।
যদিও এর পিছনে রয়েছে স্থানীয় এলাকার কয়েকজনের মদত আছে বলে দাবি। তাদের অঙ্গুলি হেলনেই পুরো ঘটনা চলতে বলে জানিয়েছেন ওই ছেলেটির পরিবার। ঘটনার পর অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নিয়ে কালনা থানার দ্বারস্থ হয়েছে ২১ লক্ষ টাকা হারানো ওই পরিবার।