Raigunj Double Murder: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে একটি বাড়ি থেকে জোড়া রক্তাক্ত মৃতদেহ ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। একটি মৃতদেহ ওই বাড়ির গৃহকর্তার হলেও আরেকটি মৃতদেহ কার, তা কেউ শণাক্ত করতে পারেননি। ফলে নানা প্রশ্ন ভিড় করছে একমাত্র মেয়ে ও প্রতিবেশীদের মধ্য়ে। ওই অচেনা মৃতদেহটি কার কীভাবে সেখানে এল, বা জীবিত এলেও একসঙ্গে গৃহকর্তার পাশে তাঁর লাশ কীভাবে এল, তার কূলকিনারা করতে পারছেন না কেউ। যা নিয়ে প্রাথমিকভাবে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশও। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রায়গঞ্জের নিউ উকিলপাড়া এলাকায় একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই ব্যাক্তির রক্তাক্ত দেহ। এই জোড়া খুনের ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। নিহত গৃহকর্তার নাম তপন দে। এদিকে ঘটনার সময় একমাত্র মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। সে পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এসে ঘটনা দেখে ভেঙে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, সৎসঙ্গ গার্লস স্কুল সংলগ্ন এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে তানিয়াকে নিয়ে একাই থাকতেন তপন দে। এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ পরীক্ষা পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে যায় তানিয়া। সেই সময় তার বাবা বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন বলে সে জানিয়েছে। পরে পডশি একজন তাঁদের বাড়িতে গেলে, তিনিই বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তপনবাবু। পাশে রয়েছে আরও এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। তিনি ঘটনা দেখে অন্যান্যদের ও পুলিশকে খবর দেন।
এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অপর মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। মৃত তপন দে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। এই জোড়া খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে কান্তনগর এলাকার একজনকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম রতন ওরফে চৈরা রতন।
এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে এসে বাবার হত্যার ঘটনাটি জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়ে তানিয়া দে। সে জানায়, টাকা পয়সা নিয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। তার জেরেই এমন ঘটনা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে তাই যদি হয়, আরেকজন কে যাঁর লাশ মিলেছে একই সঙ্গে। এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ