রাজস্থানের জালোর জেলার সায়লা অঞ্চলে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটল এক নৃশংস ঘটনা। ৪০ বছরের কুকি দেবী নামের এক মহিলার নাক কেটে নিল তাঁর ভাগ্নে ও অন্যান্য আত্মীয়রা। এই ঘটনার পর, তিনি একটি ব্যাগে তার কাটা নাক নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান।
ঘটনার বিবরণ
কুকি দেবী বিগত কয়েকদিন ধরে সায়লার মকনি গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে থাকছিলেন। গ্রামে জমি নিয়ে তাঁর মামা এবং ভাগ্নের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার, তিনি তার ভগ্নিপতি এবং ছেলেকে নিয়ে জমির একটি প্লট পরিদর্শন করতে গেলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
কুকি দেবীর অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর ভাগ্নে ওমপ্রকাশ ও অন্যান্য আত্মীয়রা তাদের উপর আক্রমণ চালায়। উত্তপ্ত ঝগড়ার এক পর্যায়ে ওমপ্রকাশ ছুরি দিয়ে কুকি দেবীর নাক কেটে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পালিয়ে পালি জেলার বাঙ্গার হাসপাতালে পৌঁছান, সঙ্গে ছিল তাঁর কাটা নাক।
চিকিৎসার জন্য পাঠানো হল যোধপুরে
বাঙ্গার হাসপাতালের ডাক্তার জুগল মহেশ্বরী জানান, কুকি দেবীর নাক মারাত্মকভাবে কাটা হয়েছে। এটি পুনরায় সংযুক্ত করা সম্ভব, তবে এর জন্য প্লাস্টিক সার্জারি প্রয়োজন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে যোধপুরের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে রেফার করা হয়।
প্রশাসনের পদক্ষেপ
এই নৃশংস ঘটনার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জমি বিরোধ থেকেই এই হামলার সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ওমপ্রকাশ এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সমাজের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় গোটা গ্রাম স্তম্ভিত। জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ এমন নৃশংসতার রূপ নিতে পারে, তা অনেকের কাছেই অস্বাভাবিক এবং দুঃখজনক। মহিলার দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আওয়াজ তুলছে স্থানীয় জনগণ।