ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। গত ১৫ অগাস্ট থেকে এই কাণ্ডের তদন্তের দায়ভার হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপর কেটে গেছে ১৪টা দিন। এই ১৪ দিনের মধ্যে ১৩ বার সন্দীপ ঘোষ সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন।
এক সিবিআই আধিকারিক জানান, সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরজি করের ঘটনার সুতো গোটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য আজ বৃহস্পতিবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরজি করে যে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে সেই কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে জেরা করা হচ্ছে।
এক সিবিআই আধিকারিক আরও বলেন, সিবিআই তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আরজি কর ও তরুণীর খুন সংক্রান্ত সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে এও খবর, ১৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। এই সঞ্জয় ও সন্দীপ ঘোষ দুজনেরই পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার পর এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই। ইডির তরফেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সন্দীপ ও আরও যে সব অধিকারিকরা ছিলেন আরজি করের দায়িত্বে তাঁদের বিরুদ্ধেও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই তৎপর। প্রতিদিনই তাদের সক্রিয়তা চোখে পড়ছে। সন্দীপ ঘোষকে জেরা তো চলছেই, একই সঙ্গে নির্যাতিতার বাড়িও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। মৃতার মা ও বাবার সঙ্গে কথা বলে এসেছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা আজ আরজি করের মর্গে হাজির হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল মৃতদেহ সংরক্ষণের বিভাগ পরিদর্শন করে। আরজি করের হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ লোপাটের অভিযোগের তদন্ত করতেই এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা আসেন বলে খবর সূত্রের।
প্রসঙ্গত, আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও সন্দীপ ঘোষের আমলে মর্গ থেকে দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। আবার হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই সব ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, তরুণীর মৃত্যুর তদন্তের পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।