Saif Ali Khan Attack case: সামনে এল সইফের ফ্ল্যাটের 'মিডনাইট হরর' এর পুরো ঘটনা, স্তম্ভিত হয়ে যাবেন

Saif Ali Khan Attack case: মামলায় এ পর্যন্ত হওয়া তদন্ত, লোকজনের বক্তব্য ও আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ওই রাতের পুরো ঘটনা এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানায়, ১৬ জানুয়ারি রাতে দুপুর দেড়টার দিকে সাইফের সদগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছন শরিফুল ইসলাম শাহজাদ।

Advertisement
সামনে এল সইফের ফ্ল্যাটের 'মিডনাইট হরর' এর পুরো ঘটনা, স্তম্ভিত হয়ে যাবেনসামনে এল সইফের ফ্ল্যাটের 'মিডনাইট হরর' এর পুরো ঘটনা, স্তম্ভিত হয়ে যাবেন

Saif Ali Khan Attack case: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মুম্বই পুলিশ ক্রমাগত তদন্ত করছে। এই মামলায় সাইফের বয়ান রেকর্ড করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চের টিম। এর আগে স্ত্রী করিনা কাপুর ও বাড়ির কর্মীদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সইফ তার বিবৃতিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর হামলা থেকে শুরু করে তার পরিবারকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা পর্যন্ত পুরো ঘটনার কথা জানিয়েছেন। 

এভাবে মামলায় এ পর্যন্ত হওয়া তদন্ত, লোকজনের বক্তব্য ও আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ওই রাতের পুরো ঘটনা এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানায়, ১৬ জানুয়ারি রাতে দুপুর দেড়টার দিকে সাইফের সদগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছন শরিফুল ইসলাম শাহজাদ। সইফ এই ভবনের ১১ এবং ১২ তলায় একটি ডুপ্লেক্সে থাকেন। অভিযুক্তরা পিছন থেকে সীমানা প্রাচীরের উপর উঠে কম্পাউন্ডের ভিতরে প্রবেশ করে।

এরপর লোকজনের চোখ এড়িয়ে ডাক্ট পাইপের সাহায্যে দোতলায় পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সিঁড়ি বেয়ে দশম তলায়। এরপর ডাক্ট পাইপের সাহায্যে তিনি ১১ তলায় পৌঁছন। যেখানে তিনি নেমেছেন তার বিপরীতে সাইফের বাড়ির বাথরুমের জানালা রয়েছে। এই বাথরুমটি সাইফের বাচ্চাদের ঘরের সাথে সংযুক্ত। এরপর সেখান থেকে আসামিরা সোজা গিয়ে সইফের ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরের বাথরুমে লুকিয়ে পড়ে। 

আসলে জাহাঙ্গীরের রুমের বাথরুমের জানালায় কোন কাঁচ নেই। এখানে একটি ইঁদুর-আটকানোর জন্য জাল রয়েছে। শরিফুল সেই জাল সরিয়ে দিয়েছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে বাথরুমের আলো জ্বলতে দেখে সেখানে পৌঁছন সাইফের আয়া ইলিয়ামা ফিলিপ। সামনে একজন অচেনা লোককে দেখে তিনি চমকে যান। অভিযুক্ত তাকে দেখতে পেয়েই তাকে চুপ থাকতে ইশারা করেন। তারপর বলে যে, কোনও আওয়াজ করলে খারাপ হবে।

এ বিষয়ে ন্যানি এলিয়ামা ফিলিপ অভিযুক্তকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কে এবং তিনি কী চান, তাতে তিনি বলেন এক কোটি টাকা চান। এই বলে সে রুমে ঘুমন্ত শিশু জাহাঙ্গীরের দিকে এগোতে থাকে। এটা দেখে ফিলিপ আওয়াজ করতে শুরু করে। সাইফ এবং করিনা, যারা ১২ তলায় তাদের বেডরুমে ঘুমাচ্ছিল, ঘরের মধ্যে শব্দ শুনে জেগে ওঠে। তড়িঘড়ি করে নেমে এলেন। ততক্ষণে বাড়ির বাকিরাও জেগে উঠেছে।

Advertisement

এত লোকজন দেখে ভয় পেয়ে যায় আসামি শরিফুল। জাহাঙ্গীরের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে সাইফ আলি খান তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর তাদের কবল থেকে নিজেকে ছাড়াতে ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে সইফের ওপর হামলা শুরু করে। সেখানে ইলিয়ামা তাকে থামানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। 
 

 

POST A COMMENT
Advertisement