৩৪ বছর বয়সী সেক্স ওয়ার্কার লুইস কেপলান, ৬৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির কাছ থেকে অনলাইনে বন্ধুত্ব করে তার কাছ থেকে পঁচিশ কোটি টাকা হরফ করে নিয়েছেন। ফাঁদে পা দিয়ে টাকা দিলেও দ্রুত তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।
শারীরিক সৌন্দর্যের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা
ওই মহিলা মাঝে মধ্যে বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যেতেন। এটা তার পেশা। তিনি শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে বিছানায় টানতেন কোটিপতিদের। কিন্তু ওই ব্যক্তির এই বিষয়ে কোনও রকম আভাস ছিল না। কেপলান এমন লোকদের নিজের জালে টানতেন, যাঁরা তার চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
কোম্পানির সিইও বলে পরিচয়
ব্রিটেনের ওই মহিলা এক বরিষ্ঠ ব্যক্তির তার থেকে ২৫ কোটি টাকা প্রতারণা করে নিয়েছে। মহিলা প্রথমে নিজেকে কোম্পানির সিইও বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু যাচাই করে দেখা যায়, যে তিনি কোনও সিইও নাম তার প্রোফাইল খুঁজতে গিয়ে জানা যায়। তিনি আসলে একজন যৌনকর্মী। কোটিপতি ব্যক্তিদের নিজের শিকার বানাযন। ওই মহিলা এবং তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করেন।
অনলাইনে বন্ধুত্ব করে জালে
অনলাইনে প্রতারণা করে তিনি প্রচুর টাকা ইতিমধ্যে কমিয়ে ফেলেছেন। দ্য সান ইউকে- সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৪ বছর বয়সী যৌনকর্মী লুইস ক্যাপলন ৬৮ বছর বয়সী ব্যক্তির সঙ্গে অনলাইনে বন্ধুত্ব করেন। কেপলান মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের নিজের জালে ফাঁসাতেন। তেমন ভাবেই ওই ব্যাক্তিকে ফাঁসিয়ে ফেলেন। যেভাবে এর আগে বিভিন্নভাবে বিশ্বাস অর্জন করে তাঁদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছেন, সেভাবেই এবারও জাল পাতেন।
তিন দফায় ১০ কোটি, মোট ২৫ কোটি
এর মধ্যে ঘটনায় প্রকাশ, ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি হোটেলে যান। সেখানে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে তিনি তার কাছ থেকে ৩ সাক্ষাতেই কেপলান ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা এবং নানারকম উপহার আদায় করেন। কিন্তু এতেই ওই মহিলার লোভ কমেনি। মহিলা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে দুবাই এবং ডাবলিনে বিজনেসের জন্য ২৫ কোটি টাকা নেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় দুই জায়গায় কোথাও তার কোনো ব্যবসা নেই ।
পুলিশের জালে ওই যৌনকর্মী
কিন্তু তার মাঝখানে ওই ব্যক্তির প্রতারণার সন্দেহ হয় তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারেন ওই মহিলা আসলে এক বড় ধরনের চিটিংবাজ। শারীরিক সৌন্দর্যের জালে ফাঁসিয়ে প্রতারণা করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে কেপলান লুইস দোষী সাব্যস্ত হন। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, তার সাত বছরের জেল হতে পারে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয়
জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক প্রোফাইল বানিয়ে মানুষকে প্রতারণার জালে জড়িয়ে নেয়। যেখানে নিজের সুন্দর ছবি লাগিয়ে কোথাও তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার, কোথাও কোনও কোম্পানির সিইও, কোথাও ফটোগ্রাফার বা কোথাও ব্যবসায়ী বলে নিজেকে পরিচয় দিতেন। আপাতত তিনি শ্রীঘরে থাকবেন।