scorecardresearch
 

Shraddha Walkar Murder Case: মুন্ডু-মোবাইল-অস্ত্র কোথায় ফেলেছে আফতাব? শ্রদ্ধা-হত্যা ক্রমেই 'ধাঁধা'

শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা মামলার (Shraddha Walkar Murder Case) তদন্ত দ্রুত এগিয়ে চলছে। মেহরাউলির জঙ্গলে (Mehrauli Forest) খুনের প্রমাণ খুঁজতে বারেবারে যাচ্ছে পুলিশ। শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনা নেওয়া হলেও পুলিশের হাত এখনও খালি। এখনও পর্যন্ত পুলিশ শ্রদ্ধার মোবাইল, তাঁর মাথা, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র খুঁজে পায়নি।

Advertisement
শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা মামলা শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা মামলা
হাইলাইটস
  • অভিযুক্ত আফতাব কিছুই বলছে না
  • আফতাবের বাড়িতে রক্তের দাগ মিলেছে

শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা মামলার (Shraddha Walkar Murder Case) তদন্ত দ্রুত এগিয়ে চলছে। মেহরাউলির জঙ্গলে (Mehrauli Forest) খুনের প্রমাণ খুঁজতে বারেবারে যাচ্ছে পুলিশ। শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনা নেওয়া হলেও পুলিশের হাত এখনও খালি। এখনও পর্যন্ত পুলিশ শ্রদ্ধার মোবাইল, তাঁর মাথা, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র খুঁজে পায়নি। অভিযুক্ত আফতাব (Aaftab Ameen Poonawala) পুলিশকে কিছু না জানানোয় পুলিশের ঝামেলা বেড়েছে। সে কিছু বললেও তা শুধুই বিভ্রান্তিকর। এমতাবস্থায় দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) সামনে এই জঙ্গলই রয়েছে, যেখান থেকে এমন কিছু জোরাল প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। যা এই মামলায় পুলিশের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে।

প্রমাণের জন্য পুলিশ একাধিকবার অভিযুক্ত আফতাবের বাড়িতে গিয়েছে। পুলিশের জন্য কিছুটা স্বস্তির বিষয় ছিল যে ওই বাড়ির এক জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। এটা খুবই সম্ভব যে এই রক্ত ​​শ্রাদ্ধের।

রক্তমাখা কাপড় আবর্জনার গাড়িতে ফেলে দেওয়া হয়

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে আফতাব তার রক্তমাখা কাপড় একটি ময়লা ফেলার ভ্যানে ফেলে দিয়েছিল। সেই গাড়ি ও আফতাবের পোশাকও খুঁজছে পুলিশ। এসব কাপড় পাওয়া গেলে বড় ক্লু পেতে পারে পুলিশ।

১৩টি হাড় উদ্ধার করা হয়েছে

অন্যদিকে, বলা হচ্ছে অভিযুক্তদের নির্দেশে পুলিশ মেহরাউলির জঙ্গল থেকে ১৩টি হাড় উদ্ধার করেছে। এসব হাড় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে এবং সে কারণে শ্রদ্ধার বাবার নমুনা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সব যোগসূত্র যোগ করার চেষ্টা করছে। তবে এটাও সত্য যে এখনও পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র বা খুনির রক্তমাখা কাপড় খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন অপেক্ষা সেই মুহুর্তের, কখন দিল্লি পুলিশ বলবে আফতাবের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।

Advertisement

মুখ পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়

আফতাবের অপরাধের পর্দা যতই উঠছে, ততই নিষ্ঠুরতার ছবিটা উন্মোচিত হচ্ছে। নতুন তথ্য অনুসারে, আফতাব প্রথমে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তারপর প্রায় ১০ ঘণ্টা শ্রদ্ধার দেহ কাটে। মুখ যাতে চেনা না যায় তার জন্য শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করে সে।

বিয়ার পান এবং জোমাটো থেকে খাবারের অর্ডার

আফতাব পাকা অপরাধীর মতো আচরণ করছিল। বলা হচ্ছে যে শ্রদ্ধার মৃতদেহ কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল আফতাব। ক্লান্তি দূর করতে সে বিয়ার খায় এবং জোমাটো থেকে খাবার অর্ডার করে। তারপর নেটফ্লিক্সে একটি সিনেমা দেখে ঘুমিয়ে পড়ে।

অ্যাসিড-ধোয়া রক্ত

শ্রদ্ধার শরীরের রক্তে ভেসে যায় পুরো ফ্ল্যাট। এটি পরিষ্কার করার জন্য আফতাব সালফার হাইপোক্লোরিক অ্যাসিড কিনেছিল, এটি দিয়ে সে মেঝে ধুয়ে দেয়। যাতে ফরেনসিক পরীক্ষার সময় ডিএনএ নমুনা পাওয়া না যায়। প্রমাণ লোপাটে এখানেই শেষ হয়নি তার কাজ। রক্তের দাগ একেবারে পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও ব্যবহার করে সে।

 

Advertisement