Siliguri Old Man Digital Arrest: পহেলগাঁওয়ের নাম করে ডিজিটাল অ্যারেস্ট, শিলিগুড়িতে বৃদ্ধ খোয়ালেন ৩৭ লাখ

Siliguri Old Man Digital Arrest: প্রতারকদের কথায় প্রভাবিত হয়ে  দু'দফায় প্রায় ৩৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা একটি অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন আতঙ্কিত বৃদ্ধ। 

Advertisement
পহেলগাঁওয়ের নাম করে ডিজিটাল অ্যারেস্ট, শিলিগুড়িতে বৃদ্ধ খোয়ালেন ৩৭ লাখপহেলগাঁওয়ের নাম করে ডিজিটাল অ্যারেস্ট, শিলিগুড়িতে বৃদ্ধ খোয়ালেন ৩৭ লাখ

Siliguri Old Man Digital Arrest: পহেলগাঁও জঙ্গি হানার ঘটনায় যুক্ত থাকার ভয় দেখিয়ে শিলিগুড়ির এক বৃদ্ধকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে ফাঁসিয়ে ৩৭ লক্ষ টাকা প্রতারণা করল সাইবার প্রতারকরা। বুড়ো বয়সে মিথ্যা অভিযোগে জেলে যাওয়ার ভয়ে প্রায় সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশাহারা পূর্ব বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দা মনোজমোহন সেনশর্মা।

মনোজবাবু জানান, ওই ব্যক্তি বলেন পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি পাকিস্তানে তথ্য পাচার করেছেন। তাই মানি লন্ডারিং আইনে তাঁর নামে মামলা হয়েছে। প্রথমে বিষয়টি তেমন আমল দেননি মনোজবাবু। পরে ভিডিও কলে প্রেম কুমার ও দেবাশিস ঘোষ নামে আরও দু'জন তাঁর সঙ্গে কথা বলে। বিষয়টি কাউকে জানালে বিপদ হবে এবং বাড়িতে কাউকে ঢুকতে মানা করেও দেন প্রতারকরা। ৪ এবং ৫ অগাস্ট দু'দিন ধরে মনোজকে ব্রেন ওয়াশ করা ও ভয় দেখানো হয়।

এমনকী পুলিশ ও আর্মির পোশাক পরে তারা ভিডিও কলে এসেছিল বলেও তিনি জানান। কথা বলতে বলতেই নাটকীয়ভাবে একজন অন্য এক আধিকারিকের ঘরে স্যালুট করে প্রবেশ করে। সেনার কায়দায় স্যালুট করে, 'জয় হিন্দ' বলেও সম্ভাষণ করে। তদন্তের নামে মনোজের থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন নথি চাওয়া হয়। ভিডিয়ো কল করার সময় উক্ত দেবাশিস নিজের মুখ আড়ালে রেখেছিলেন। মনোজ এর কারণ জিজ্ঞেস করলে 'আর্মি আধিকারিকদের ক্যামেরার সামনে আসতে বারণ আছে বলে জানায়। পরে মনোজের হোয়াটসঅ্যাপে ইনকোয়ারি রিপোর্ট, অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট পাঠানো হয়। এমনকী অফিসার পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিরা এনআইএ-র নামে ভুয়ো আইডেন্টিটি কার্ড পাঠান।

প্রতারকদের কথায় প্রভাবিত হয়ে  দু'দফায় প্রায় ৩৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা একটি অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন আতঙ্কিত বৃদ্ধ। মনোজবাবুর ভাই ধ্রুবময় সেনশর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, একটি অ্যাকাউন্টে ছেলের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। টাকা ট্রান্সফার হতেই সিঙ্গাপুরে থাকা ছেলে ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ পায়। বাবাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করতেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। এরপর শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা।শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, 'ঘটনার তদন্ত চলছে। সম্ভবত অন্ধ্রপ্রদেশের একটি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।'

Advertisement

মনোজ কেন্দ্রীয় জল কমিশনে আধিকারিক পদে চাকরি করতেন। অবসর নিয়েছেন প্রায় কুড়ি বছর আগে। আট বছর আগে শিলিগুড়িতে এসে বাড়ি করে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। এর আগে ৩০ বছর দিল্লিতেই থাকতেন বৃদ্ধ। একমাত্র ছেলে থাকেন সিঙ্গাপুরে। গত ৪ অগস্ট মনোজের মোবাইলে একটি ফোন আসে। অন্যপ্রান্ত থেকে সুমিত মিশ্র নামে একজন নিজেকে পহেলগাম থানার পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে কথা বলতে থাকেন।

 

POST A COMMENT
Advertisement