সোনারপুরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের গুরুতর অভিযোগ। প্রাক্তন ফুটবলার বাবু দাস পোদ্দারকে দলবল নিয়ে এসে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা।
এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলা এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দা বাবু দাস পোদ্দার একজন প্রাক্তন ফুটবলার। বর্তমানে কোচিং করান। অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কের উপর এক শিশু খেলা করছিল। সেই জায়গাটি ভাঙা ছিল, তাই বাবু দাস ওই শিশুকে সেখানে থেকে নেমে যেতে বলেন। কিন্তু সে কথা না শোনায়, তাকে চড় মারা হয়। দাবি, এরপরেই শিশুটির গলায় পা তুলে চেপে ধরা হয়।
এই ঘটনার পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণ দাস ওরফে নাড়ু জানান, বাবু দাস আগেও একাধিকবার স্থানীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এমনকি মহিলাদের সঙ্গেও অশালীন আচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুরো ঘটনাটি থানায় জানানো হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা বাবু দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালান এবং তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে এই ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁর কোনও হাত নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, বাবু দাস মানসিক ভারসাম্যহীন।
অন্যদিকে, আক্রান্ত শিশুর মায়ের অভিযোগ, তার ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বাবু দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই শিশু প্রতিদিন তাদের বাড়ির আশেপাশে খেলা করত। সেফটিক ট্যাঙ্ক ভাঙা থাকার কারণে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সেই কারণেই শিশুটিকে নেমে যেতে বলা হয়। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও কথা না শোনায় তাকে চড় মারা হয়। তবে তাদের দাবি, এই সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। শাবল, রড নিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং বাবু দাসকে মারধর করা হয়েছে।
সংবাদদাতা- প্রসেনজিৎ সাহা