
Stray Dog Rape: বিকৃতকাম পুরুষের লোলুপ দৃষ্টির শিকার পথ কুকুর (Stray Dog Rape), বাড়ির পোষ্যও। মাসখানেক আগে দিল্লিতে (Delhi) হরিনগরে দিনদুপুরে পার্কে কুকুরকে ধর্ষণের ঘটনা মনে পড়ে? সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি এমনই এক ঘৃণ্য ঘটনা উঠে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) সোনারপুরের (Sonarpur) চৌহাটি থেকে। রতিকান্ত সর্দার নামে অভিযুক্ত প্রৌঢ় গত দু'বছর ধরে রাস্তার একটি কুকুরকে ধর্ষণ করছিল। বারংবার বারণ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে প্রমাণ রাখতে প্রতিবেশীরা ঘটনাটি ঘটার সময় ভিডিও করেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ওঠে নিন্দার ঝড়। শিউড়ে দেওয়া ঘটনা দেখে তেঁতে ওঠেন নেটিজেন ও পশুপ্রেমীরা।
ধর্ষণ থেকে গণধর্ষণ, চারপেয়ে নিরীহ কুকুরদের ওপর অত্যাচারের তালিকা বেশ লম্বা। বাংলা, বিহার থেকে দিল্লি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক পথ কুকুরের ধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে অবলাদের নিরাপত্তা নিয়ে।
গত বছর এপ্রিলে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়িতে সরকারি বাংলোর পিছনে পরিত্যক্ত জঙ্গলে এমনই এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত শ্যামল দাম। তার দাবি, কবিরাজ বলেছিল রোগ সেরে যাবে। সেই পরামর্শ শুনে দিনের পর দিন কুকুরকে ধর্ষণ করত ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ধরা পড়তেই সে জানায়, মদ খেয়ে নাকি খেয়াল হারিয়েছিল কার সঙ্গে কী করছে!
মাসখানেক আগে পশ্চিম দিল্লির হরিনগর এলাকার একটি পার্কেও এমন অসামাজিক কাজ করতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। পার্কের মধ্যে এক স্ত্রী কুকুরকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
গত ৮ মার্চ হোলির দিন পাটনার (Patna) ফুলওয়াড়ি শরিফের ফয়জল কলোনিতে এক পথ কুকুরকে ধর্ষণ করে যুবক। রাস্তার একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ঘটনার দৃশ্য।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ সোনারপুরে প্রৌঢ়ের কুকুরকে ধর্ষণের ঘটনায় রতিকান্ত সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আইনজীবী মোহিত মিস্ত্রি জানান, তার বিরুদ্ধে ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে বারুইপুর আদালতে পেশ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতে পেশের পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে জরুরি কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে বলেও অভিযোগ ওঠে প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারির ২০২২-এ বেহালার পর্ণশ্রীতেও পথ কুকুরের ওপর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
শুধু যে কুকুর তাই নয়, ছাগল-বাছুরকেও হতে হচ্ছে যৌন লালসার শিকার। একের পর এক ঘটনায় চরম পর্যায়ে বাড়ছে অস্বস্তি। ধর্ষণ, পশুদের ওপর নির্মম অত্যাচার, কখনও বিষ খাওয়ানো, কখনও গায়ে গরম জল দেওয়া, কুকুরের যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়ার মত জঘন্য ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। হয়রানির বিষয় হল, অনেক সময়ই পশুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। আকছার পুলিশ প্রশাসনের ওপর গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এ সব কারণেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পশুপ্রেমীদের। কারণ, ওরা প্রতিবাদ করতে জানে না। ওরা নির্বাক। কীভাবে লোলুপ দৃষ্টির থেকে রক্ষা মিলবে তাদের? কী এর প্রতিকার? বছরের পর বছর ধরে তা-ই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।