দেশের বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য গোয়ায় একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড পুরো দেশকে চমকে দিয়েছে। মাত্র চার বছরের একটি নিষ্পাপ শিশুকে তার মায়ের হাতে খুন হতে হয়েছে। যা সহজে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না। নিজের ছেলেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ, ডেটা সায়েন্টিস্ট, মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সূচনা শেঠের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে গোয়া পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ তাকে অপরাধ স্বীকার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে, কিন্তু সে ক্রমাগত অস্বীকার করছে। এদিকে, সুচনার স্বামী ভেঙ্কট রমন তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করতে গোয়ার ক্যালাঙ্গুট থানায় পৌঁছেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসছে যে সূচনা শেঠ শিশুপুত্রকে হত্যা করার পর মৃতদেহের সঙ্গে ছিলেন ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা কাটিয়েছিল। তথ্য অনুযায়ী, চেক-ইন করার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ৭ তারিখ সকাল ১ থেকে ২টোর মধ্যে শিশুটিকে খুন করা হয়। এরপর ৭ ও ৮ তারিখ রাত ১২টার দিকে সূচনা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হয়।
সূত্রের খবর, অনেক কষ্টের পর গোয়া পুলিশ সূচনা শেঠকে নিয়ে সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছেছিল, যেখানে অপরাধটি হয়েছিল। সূচনা এখানে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল না। সে ক্রমাগত পুলিশকে বলছিল, যে সে তার ছেলেকে খুন করেনি। রাতে দুজনে এক সঙ্গে ঘুমোয় এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ছেলে মারা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তানকে খুনের পর তার দেহ একটি ব্যাগে ভরে গোয়া থেকে কর্নাটকের উদ্দেশে রওনা হয় সূচনা। সে যে হোটেলে ছিল, সেখান থেকেই একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে। মাঝপথেই তাকে আটক করে গোয়া পুলিশ। নিহতের বাবা ইন্দোনেশিয়া থেকে ফেরার পর দেহ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ছেলেকে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই সূচনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।