Kaliaganj Minor Rape Case: নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়িতে আটকে টানা দু’মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাধ্য় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কাউকে জানালে ওই কিশোরীকে মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ারও হুমকি দেয় অভিযুক্ত বলেও জানা গিয়েছে। ওই ছাত্রীর বয়স ১৫-র মতো জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তের বয়সও ২১ বলে জানা গিয়েছে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসে ওই কিশোরী। এসপর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় মেয়েটির পরিবার। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করা হয়। এদিকে, কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি গোপন জবানবন্দি নিতে সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, দু’মাস আগে পরিবারের একজনের মিথ্যা দুর্ঘটনার খবর দিয়ে কিশোরীকে একটি এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত তরুণ। পরে ওই কিশোরীকে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যায় সে। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, কিশোরীর আপত্তিকর ছবিও তুলে রাখে সে। এরপর সে সেই ছবি দেখিয়ে বারবার কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। পরে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তার ওপর লাগাতার অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত।
এদিকে গতকালই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে মালদায়। ছাত্রীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়েছে স্থানীয় একটি ইঁটভাটা থেকে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের পর থেকেই ওই ছাত্রী নিখোঁজ ছিল। তাঁকে পরিবারের লোকেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও কোনও সন্ধান পায়নি। এরপর এদিন বিকেলে ওই ছাত্রীর মা পুকুর থেকে জল আনতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে তাঁর মেয়ের দেহ মেলার খবর পান। পরপর এমন ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।