হাইলাইটস
- দোকান থেকে নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করল চোর।
- চোরেও তো মাঝে মাঝে রেস্ট নিতে, আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে!
- রীতিমতো তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে দোকানে ঢুকেছিল চোর।
দোকান থেকে নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করল চোর। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। চোর যখন... চুরি তো করবেই। কিন্তু চোরেও তো মাঝে মাঝে রেস্ট নিতে, আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে! আর হলও তাই। দিব্যি দোকানের বাইরে চাতালে বসে আইসক্রিম, দামি চকোলেট খেল চোর। পুরোটাই ধরা পড়ল সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনাটি ঝাঁসির কোতোয়ালি এলাকার। রীতিমতো তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে দোকানে ঢুকেছিল চোর। তারপর সিসিটিভি ক্য়ামেরা ভাঙারও চেষ্টা করে সে।
সূত্রের খবর, ঝাঁসির সিটি থানার অন্তর্গত ছনিয়াপুরার বাসিন্দা অরবিন্দ সাহুর দোকান এটি। সুভাষগঞ্জ বাজারে তাঁর বেশ চলতি দোকান রয়েছে। চিপস, আইসক্রিম, কেক, চকোলেট রাখেন। সেই দোকানের কাছেই থাকেন অরবিন্দের শ্যালক রবীন্দ্র। প্রতিদিনের মতো অরবিন্দ দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। সকালে রবীন্দ্র দোকানের রাখা হাঁড়িতে জল ঢালতে গিয়ে দেখেন, চাতালে আইসক্রিম ও চকলেটের বাক্স ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। দেখেই জামাইবাবুকে ডাকতে ছোটেন তিনি।
দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন
অরবিন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকান খুলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন। দেখেন পুরো দোকান জুড়ে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। দোকান থেকে নগদ প্রায় দুই লক্ষ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র উধাও। সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন। দেখেন, মুখে মাস্ক ও তোয়ালে পরা এক ব্যক্তি ছাদ থেকে নামছেন। ক্যামেরা ভাঙারও চেষ্টা করেন তিনি। চুরি করার পর বারান্দায় গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নিশ্চিন্তে বসেন। আইসক্রিম ও চকলেট খেয়ে বাক্স-প্যাকেট সেখানে ফেলে চলে যায়।
দোকানদার অরবিন্দ সাহু জানান, সকালে দোকান খুলে দেখেন জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। দু'টি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। দুই-তিনটি স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যদিও সেভ হয়েই ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে সিঁড়ি দিয়ে একজনকে আসতে দেখা যায়। তার মুখে মাস্ক ছিল। সাদা তোয়ালে পরা।দোকান থেকে নগদ টাকা ও মালপত্র চুরি করে সে। বারান্দায় আইসক্রিমের খোলা বাক্সও পাওয়া গিয়েছে।
মজার বিষয়টি হল, অরবিন্দ জানান, 'একটা সুগার ফ্রি আইসক্রিমও পেলাম, মনে হয় চোরের সেই স্বাদ মুখে রোচেনি। তাই অন্য বড় প্যাকটা নিয়ে খেয়েছে। একটা চকলেটের বাক্সও আছে।'
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে। তার ভিত্তিতে পুলিশ দল গঠন করে চোরের খোঁজ শুরু করে। শীঘ্রই চোরকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জ্ঞানেন্দ্র কুমার বলেন, দোকানে চুরির সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ উঠেছে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।