সাড়ে সাত মাস ধরে খুঁজছিল পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু তার টিকিও ছোঁয়া যায়নি। অবশেষে তৃণমূল কাউন্সিলর মালদা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় আত্মসমর্পণ করল অভিযুক্ত বাবলু যাদব। মালদা আদালতে ১১টা নাগাদ আত্মসমর্পণ করে বাবলু। দুলাল সরকারকে খুনের হুমকির ঘটনায় ৮ জনকে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ আগে গ্রেফতার করে।
এই বাবলু যাদব ঘটনার পর থেকে বিহারে গা ঢাকা দিয়েছিল। বাবলু যাদবের মাথার দাম রাখা হয়েছিল দু'লক্ষ টাকা। এদিন মালদা আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে বাবলু। তাকে ছ'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাবলু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানান আইনজীবী ত্রিদীপ সিনহা।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে ইংরেজবাজার থানার মহানন্দা পল্লি এলাকায় তাড়া করে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র চালিয়ে জানে শেষ করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর তড়িঘড়ি মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছিল। এই বাবলু যাদবকে খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। যার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও অধরা ছিল এই বাবলু যাদব।
জানা যায়, এই বাবলু যাদব দীর্ঘদিন ধরে বিহারে গা ঢাকা দিয়েছিল। দুলাল সরকার খুনের ঘটনার প্রায় সাড়ে সাত মাস পরে শুক্রবার, ১৮ জুলাই বেলা ১১টা নাগাদ মালদহ আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে। নিহত দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, 'আইন আইনের পথে চলছে। আমার আইনে বিশ্বাস আছে। পুলিশ প্রশাসন আশা করি তার কাজ করছে। যেটা ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা শাস্তি পাবে আর তার জন্য যা যা করনীয় প্রশাসন করছে।'
এবিষয়ে দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, হঠাৎ করে বাবলা সরকার খুনের আসামী বাবলু যাদব আদালতে আত্মসমর্পন করে ৷ বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় সকল আসামী পুলিশের আওতায় এল। এখন এই ঘটনার নতুন কোন মোড় নেয় কিনা সেদিকে জেলাবাসী তাকিয়ে রয়েছে।
এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুন্ডু বলেন, বাংলায় আইনের শাসন রয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে দাবি করেন তিনি। বাংলার পুলিশের তৎপরতা জন্য অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেছে বলে দাবি করেন আশিস কুণ্ডু।