হাওড়ার থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। দাবি, সালিশি সভায় সুরাহার বিনিময়ে এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেন পঞ্চায়েতের শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সঞ্চালক ইন্দাস হোসেন লস্কর ওরফে বাবলু। তাতে রাজি না হওয়ায় মহিলা ও তাঁর মেয়েকে মারধর-শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও স্থানীয়দের একাংশ মহিলার সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
জানা গিয়েছে, পোদরা লস্কর পাড়ার ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রতিবেশীদের নোংরা ফেলা নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই বিষয়টি মেটাতে একটি সালিশি সভা করার জন্য তিনি পঞ্চায়েতে ইন্জাস হোসেন লস্কর ওরফে বাবলুর কাছে আবেদন করেন। অভিযোগ, তখনই কুপ্রস্তাব দেন বাবলু। কুপ্রস্তাবে রাজি হলেই সালিশি সভায় তাঁর পক্ষে রায় দেওয়া হবে বলে তিনি জানান বলে দাবি করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের একাংশের আরও অভিযোগ, দিন তিনেক আগে অভিযুক্তরা হঠাৎ গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয়। মারধরের পাশাপাশি অশালীন আচরণও করা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার মেয়েকেও নিগ্রহ করা হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। এরপরেই আতঙ্কে মা-মেয়ে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার মেয়েকে আপাতত লিলুয়ার একটি হোমে রাখা হয়েছে। মা এই মুহূর্তে বাড়িছাড়া। অভিযুক্ত পাঁচজনই পলাতক। তাদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই মহিলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আপাতত পুলিশি তদন্তে কী উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
সংবাদদাতাঃ হিমাদ্রি ঘোষ