শহিদ দিবসের রাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থল বিরাটির (Birati) বণিক মোড় এলাকা। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম শুভ্রজিত দত্ত। ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে করেছে পুলিশ। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারে দাবি জানিয়েছে শাসকদল।
জানা গিয়েছে, ২১ জুলাইয়ের রাতে পার্টি অফিসেই ছিলেন শুভ্রজিত দত্ত নামে ওই তৃণমূল (TMC) কর্মী। অভিযোগ, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় আচমকাই বাইকে করে এসে তাঁর ওপরে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে চমকে যান স্থানীয়রা। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর বাবা-মাও অত্যন্ত অসুস্থ। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশাসনের কাছে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিশ (Nimta PS)।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এদিনই ২ জনের মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার (Haroa) ট্যাংরামারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, এদিন শহিদ দিবসের আয়োজন করে তৃণমূল। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল নেতা যোগেশ্বর প্রামাণিক ও তৃণমূল নেতা তপন রায়ের অনুগামীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। ধীরে ধীরে তা সংঘর্ষের আকার ধারন করে। ক্রমশ তা গুলি-বোমার লড়াইতে পরিণত হয়। সংঘর্ষে আহত হন উভয়পক্ষের বেশকয়েকজন। মৃত্যু হয় লক্ষ্মীবালা মণ্ডল ও সন্ন্যাসী সর্দারের নামে দু'জনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছাড়ায় সেইদিকে নজর রেখেছে পুলিশ।