scorecardresearch
 

Triple Talaq : তিন তালাক অসম্ভব, তাই গাড়ি চাপা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করাল রেল পুলিশ!

Triple Talaq: অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তির নাম আফসার আলি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের গর্ভবতী স্ত্রীকে খুন করেছে। তার স্ত্রীর নাম নাজমা।

Advertisement
অভিযুক্ত আফসার আলি অভিযুক্ত আফসার আলি
হাইলাইটস
  • গর্ভবতী স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক রেল পুলিশের বিরুদ্ধে
  • পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়
  • হরিয়ানার যমুনানগরের ঘটনা

Triple Talaq: গর্ভবতী স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে রেল পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

স্ত্রীকে নিজের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে তাঁকে গাড়ি দুর্ঘটনায় মেরে ফেলা হয়। যাতে কারও কোনও সন্দেহ না হয় যে সেটা খুন হতে পারে। হরিয়ানার যমুনানগরের ঘটনা।

যমুনানগরের পুলিশ জানাচ্ছে
যমুনাগরের পুলিশকর্তা কমলদীপ গোয়েল জানান, ওই ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল যমুনানগর-১ অপরাধ শাখাকে। ওই ঘটনা ঘটেছিল ফকরপুর থানা এলাকায়। আর তারপর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস হয়।

পুলিশ খুনের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্তকে ধরেছে। যে রেল পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। 

সপরিবারে পরিকল্পনা
অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তির নাম আফসার আলি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের গর্ভবতী স্ত্রীকে খুন করেছে। তার স্ত্রীর নাম নাজমা। এই ষড়যন্ত্রে তার খুড়তুতো ভাই মিলে ছকেছিল। স্ত্রীকে খুন করা হয়েছিল। তবে সবার কাছে যাতে মনে হয়, সেটা নিছকই গাড়ি দুর্ঘটনা। বেশ পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হয়েছিল।

তদন্তকারী ধীরে ধীরে সে ব্য়াপারে জানতে পারেন। তদন্তে নেমে দেখা যায়, য়েই গাড়ি দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা আফসার আলির উত্তরপ্রদেশের গাড়ি। সে রাজ্যের গ্রামের বাড়িতে থাকত সেটি। পরে তদন্তকারীরা এ ব্য়াপরে জানাতে চান। সে জেরার মুখে ভেঙে পড়ে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, তাকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এবং তারপর ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের পর্যন্ত পৌঁছে যাবে পুলিশ। তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।

ফেসবুকে আলাপ
অফসর আলির সঙ্গে নাজমার আলাপ ফেসবুকে। এরপর তাদের যোগাযোগ বাড়ে। তবে আফসার আলি বিয়ে করতে চায়নি। তবে তার বিরুদ্ধে যাতে কোনও অভিযোগ দায়ের না হয়, তা একপ্রকার বাধ্য হয়ে ২০১৯ সালে বিয়ে করে। এরই মাঝে তিন তালাক আইন চলে আসে। ফলে সে নাজমাকে সহজে ছেড়ে দিতে পারত না।

Advertisement

দ্বিতীয় বিয়ে করলে ৫০ লক্ষ চাকা পেত
নাজমার ভাই মহম্মদ ইদ্রিশের দাবি, বিয়ের পর পণের দাবি করেছিল। আর বার বার পণ চাইত। তাঁরা বাড়ি বিক্রি করে ১২ লক্ষ টাকাও দিয়েছিল। তবে আফসার আরও একটা বিয়ে করতে চেয়েছিল। সেখান থেকে সে ৫০ লক্ষ টাকা পেত। 

তিনি আরও জানান, ভাল কাজের জন্য তার পদোন্নতি হয়েছিল। তবে নাজমা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলে। আর তারপর পদে অবনতি হয়। আর এই কারণেই তাঁকে খুন করে দিল।

 

Advertisement