Shootout: খাস কলকাতায় ভরদুপুরে চলল গুলি। ইতিমধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পার্ক সার্কাসে সাত মাথার মোড় থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বেকবাগানে রয়েছে বাংলাদেশেরে হাই কমিশনারের আউটপোস্ট। আচমকা সেখান থেকে বেরিয়ে একপুলিশ কর্মী এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে এদিন। সেই সময়ে পথচলতি এক মহিলার গায়ে গুয়ি লাগে। এক বাইক চালকও গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। পরে ওই পুলিশ কর্মী নিজের গলার কাছে এসএলআর রাইফেলটি নিয়ে গুলি করেন। সেখানেও তাঁর মৃত্যু হয়। ওই বাইক চালককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয়দের।
ঠিক কী হয়েছিল?
আচমকা এই ঘটনার স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এদিন পার্ক সার্কাস মড়ো একটি সংগঠনের ডাকে জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। ফলে আগে থেকেই ওই এলাকায় বাড়তি পুলিশ ছিল। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই পুলিশকর্মী সদ্যই কাজে যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের হাই কমিশনারের আউটপোস্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। এদিন আচমকা নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে রাস্তা গুলি চালাতে শুরু করেন।
কী জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। প্রথমে ওই পুলিশকর্মী রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিতে গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময়ে এক মহিলা সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এক বাইক চালকও গুরুতর আহত হন। এর পর রাস্তাতেই নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন ওই পুলিশ কর্মী। আচমকা কেন ওই পুলিশ কর্মী এই কাজ করলেন, তা স্পষ্ট নয়। মানসিক চাপ না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি
মৃত পুলিশ কর্মী এবং ওই মহিলার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। মৃত পুলিশ কর্মীর রাইফেলটিও উদ্ধার হয়েছে। তবে ঘটনার জেরে এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা হাজির হয়েছেন ঘটনাস্থলে।