দুর্গাপুর গণধর্ষণ: গ্রেফতার আরও ১, ছাত্রীর বন্ধুর দিকেও কেন সন্দেহের তির?

দুর্গাপুরে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণের ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ রবিবার তাদের পরাণগঞ্জের জঙ্গল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ রবিবার এই তিন অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এবার এই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হল। চতুর্থ অভিযুক্তকে আজ আদালতে তোলা হবে।

Advertisement
দুর্গাপুর গণধর্ষণ: গ্রেফতার আরও ১, ছাত্রীর বন্ধুর দিকেও কেন সন্দেহের তির?জেদ করে বাইরে নিয়ে যায় ওই বন্ধু

দুর্গাপুরে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণের ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ রবিবার তাদের পরাণগঞ্জের জঙ্গল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ রবিবার এই তিন অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এবার এই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হল। চতুর্থ অভিযুক্তকে আজ আদালতে তোলা হবে।

ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিডব্লিউ) সদস্য অর্চনা মজুমদার দাবি করেছেন, এই মামলায় নির্যাতিতার  বন্ধুর ভূমিকা সন্দেহজনক। হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে  দেখা করার পর তিনি বলেন,  মেডিক্যাল ছাত্রীকে তার বন্ধু কলেজ থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিল। অর্চনা মজুমদার জানান, 'নির্যাতিতার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ  চলছে। বন্ধুই জেদ করে নির্যাতিতাকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিল।'

জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিডব্লিউ) সদস্য অর্চনা মজুমদার আরও বলেন, অভিযুক্তরা যখন কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে নির্যাতিতাকে ঘিরে ফেলে, ঠিক তখনই তার বন্ধু চলে যায়। পুলিশের উচিত এই দিকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা, কারণ প্রাথমিক প্রমাণ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই ঘটনায় বন্ধুটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে। ওড়িশা থেকে দুর্গাপুরে আসা নির্যাতিতার  বাবাও তাঁর মেয়ের কথিত বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বাবার বক্তব্য, 'অভিযুক্তরা আমার মেয়েকে ঘিরে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধু পালিয়ে যায়। আমার মেয়ে এখন প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছে। সে হাঁটতেও পারছে না। সে হাসপাতালের বিছানায় আছে। আমরা তার নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তিত। আমাদের আশঙ্কা, যেকোনও সময় তাকে হত্যা করা হতে পারে। সেই কারণেই আমরা তাকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা এখন বাংলার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। সে ওড়িশাতেই পড়াশোনা করবে।'

নিজের বরানে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বন্ধুর সঙ্গে তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে হাঁটছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ঘিরে ধরেন কয়েক জন। তার পরেই ধর্ষণ! পুলিশ সূত্রে খবর, ‘নির্যাতিতা’র এই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। এখনও ‘আটক’ তরুণীর সেই বন্ধু-সহপাঠী। তাঁর কিছু গতিবিধিতেও তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।  

Advertisement

এদিকে, রবিবার দুর্গাপুর পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নথিপত্র, নমুনা এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রমাণ রক্ষার জন্য পুরো এলাকা জুড়ে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, ওড়িশা সরকারের একটি দলও দুর্গাপুরে এসে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে, কিন্তু অনুমতি না মেলায় দলটি নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে যায়।

POST A COMMENT
Advertisement