নিউটাউনের গেস্ট হাউসে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার। প্রাথমিকভাবে অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনায় আটক করা হয়েছে পুরুষসঙ্গীকে। নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিউটাউনের সাহা মার্কেট এলাকার একটি গেস্ট হাউসে গতকাল আসে এক যুগল। নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তাঁরা ওঠেন। নাম ইতিকা ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। সোমবার রাতে তাঁরা ওই গেস্ট হাউসেই ছিলেন। তবে মঙ্গলবার ইতিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
সূত্রের খবর, ১০০ নম্বরে ডায়াল করে এক ব্যক্তি থানায় জানান, সাহা মার্কেটের ওই গেস্ট হাউসে এক জন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইকোপার্ক ও নিউটাউন থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিতভাবে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ওই যুগলের ঝগড়া হয়। তার জেরেই বিশ্বজিৎ ইতিকাকে খুন করেছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ গেস্ট হাউসে এসে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎকে খুঁজে পায়নি। তবে তাঁর মোবাইলের নম্বর ট্র্যাক করে আটক করে। নিউটাউন এলাকা থেকেই তিনি ধরা পড়েন।
ওই যুগল সোমবার ইকোপার্কে ঘুরতে এসেছিলেন। সোমবার তাঁরা অনেকটা সময় গেস্ট হাউসে কাটান বলে খবর। তবে তাঁরা আদৌ স্বামী-স্ত্রী ছিলেন কি না সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পর গেস্ট হাউস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এই গেস্ট হাউসে মাঝে মধ্যেই লোকজন আসে। অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েরা আসে। কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে চলে যায়। এমনকী স্কুল পড়ুয়ারাও গেস্ট হাউসে আসে বলে অভিযোগ। যদিও এই নিয়ে গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার ল্যান্সডাউনের ফুটপাথ ও বেলগাছিয়া রোড থেকে দুটো দেহ উদ্ধার হয়। ল্যান্সডাউনে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেহের পাশে পাথর পড়েছিল। পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রক্ত। কালীঘাট থানার পুলিশ সেই দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আবার বেলগাছিয়া রোডে একটি বাড়ির নিচে পড়েছিল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছে পুলিশ।