Youtuber Jyoti Malhotra : ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা পাক-গুপ্তচর জ্যোতিকে, কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না রহস্যময়ী?

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতি মালহোত্রা তদন্তে সহযোগিতা করছে না। জেরার সময় চুপ করে থাকছে সে। এনআইএর তদন্তকারীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। খবর সূত্রের।

Advertisement
ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা পাক-গুপ্তচর জ্যোতিকে, কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না রহস্যময়ী? jyoti Malhotra
হাইলাইটস
  • গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতি মালহোত্রা তদন্তে সহযোগিতা করছে না
  • জেরার সময় চুপ করে থাকছে সে।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতি মালহোত্রা তদন্তে সহযোগিতা করছে না। জেরার সময় চুপ করে থাকছে সে। এনআইএর তদন্তকারীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। খবর সূত্রের। তবে জ্যোতিকে ফের জেরা করা হতে পারে। তদন্তকারীদের দাবি, আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে জ্যোতির থেকে। 

হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা জ্যোতির বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, বিদেশ ভ্রমণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইত্য়াদি বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। জেরায় অভিযুক্ত জানায়, সে ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিল। পুলিশের তরফে তার ফোন, ল্যাপটপ ও অন্য ইনেকট্রনিক্স ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলো থেকে অনেক তথ্য মিলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠলেও জেরায় জ্যোতি কিন্তু নিজেকে একজন সাধারণ ভ্লগার বলেই দাবি করেছে। সে জানিয়েছে, অন্য দেশে গিয়েছিল ভিডিও বানাতে। তার অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। 

জ্যোতি মুখে একথা বললেও গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন, এখনও পর্যন্ত তিনবার সে পাকিস্তানে গিয়েছিল। নির্দিষ্ট কোনও উদ্দেশ্য না থাকলে একই দেশে কেন বারবার গিয়েছিল সে? এই প্রশ্নও জ্যোতিকে করেছেন  তদন্তকারীরা। পাকিস্তানে গিয়ে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পেয়েছে ওই যুবতী। তাকে পাকিস্তান পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়েছিল। পাক হাইকমিশনের অফিসার দানিশের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। একসঙ্গে পার্টিতেও যায় তারা। ভিডিওতে সেই পার্টির প্রশংসা করেছিল ওই যুবতী। 

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, অপারেশন সিঁদুরের সময় জ্যোতিক  কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। সহকর্মী ওড়িশার ব্লগার কেউ সন্দেহের তালিকা থেকে সরানো হচ্ছে না।

জ্যোতির ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে লাখ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করে  জ্যোতির অ্যাকাউন্ট থেকে পাকিস্তানের গুণগান গাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল সেই দেশের কূটনীতিকরা। জ্যোতিকে তারা এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে। 

 অভিযোগ, পহেলগাঁও হামলার আগেই পাকিস্তান গিয়েছিল জ্যোতি।  অভিযোগ এই ভারতীয় তরুণী, অপারেশন সিঁদুরের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এমনকী ভারতের সেনাঘাঁটি সংক্রান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে দিয়েছিল। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্যও পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে জ্যোতির বিরুদ্ধে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement