
গত ৮ দিন ধরে ইন্ডিগোর জন্য সাধারণ বিমান যাত্রীদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ক্যানসেল হয়েছে হাজার হাজার বিমান। দেরিতে চলেছে অসংখ্য ফ্লাইট। যার জন্য অনেকেই সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি।

অনেকে চিকিৎসা করানোর জন্য পৌঁছতে পারেননি। কেউ আবার জরুরি মিটিংয়ে যেতে পারে পারেননি। কারও আবার জরুরি অনুষ্ঠান মিস হয়ে গিয়েছে। তাই ইন্ডিগোকে নিয়ে আপাতত ফুঁসছেন যাত্রীরা।

আর সেই ক্ষোভ আঁচ করেই ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী কে রাম মোহন নাইডু সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, শীতের সময় ইন্ডিগোর ফ্লাইট শিডিউল কমানো হবে। সেই জায়গা অন্যদের দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে যাত্রীদের হয়রানি অনেকাংশে কমবে।

তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডিগো এখন দৈনিক ২২০০ ফ্লাইট চালায়। তবে সেই সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হবে। এটাই সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আসলে ১ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার ফ্লাইট ক্যানসেল করেছে ইন্ডিগো। পাশাপাশি অসংখ্য ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে। এমনকী ব্যাগেজ পেতেও সমস্যা হয়েছে। আর যাত্রীদের এমন সমস্যা হওয়াতেই ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে সরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৭৪৫ কোটি টাকা রিফান্ড দিয়ে দিয়েছে সংস্থা। সেটা একদিক থেকে ভাল খবর।

এছাড়া ইন্ডিগোর কাছে যাত্রীদের ৯০০০ ব্যাগেজ ছিল। তার মধ্যে ৬০০০ ফেরত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকি থাকা ব্যাগ, আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই ফেরত দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই যাত্রী হয়রানির জন্য ইন্ডিগোকে নোটিস দিয়েছিল সরকার। আর তার উত্তরও দিয়েছে সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতের জন্য শিডিউল বদল, খারাপ আবহাওয়া, ট্রাফিকের সমস্যার জন্যই এমনটা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতেই অসামরিক বিমান পরিহবণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আজ সমস্ত বিমান পরিষেবা প্রদানকারীদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।

এই মিটিংয়ে আলোচনা হবে ঠিক কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়। পাশপাশি ভাড়ায় যে ক্যাপিং বসানো হয়েছে, সেটি নিয়েও হবে আলোচনা।

মাথায় রাখতে হবে, এই ঘটনার পর থেকেই পড়েছে ইন্ডিগোর শেয়ার। গত ৭ দিনে দাম পড়েছে ১৭ শতাংশ।