পুষ্পম প্রিয়া চোধুরি
নিজেকে একেবারে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন এই তরুণী। কিন্তু ভোটের ময়দানে ২টি আসনেই হারতে হল এই কন্যেকে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের ছাত্রী পুষ্পম প্রিয়া বঙ্কিপুর ও বিস্ফি থেকে নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছেন তিনি। বিস্ফিতে তাঁর দখলে এসেছে ১৫০৯টি ভোট, অন্যদিকে বঙ্কিপুরে তিনি পান ৫১৮৯টি ভোট। দুটি আসনেই জামানত জব্দ হয়েছে তাঁর
লব সিনহা
কংগ্রেস নেতা তথা বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার পুত্র লব সিনহা এবার বঙ্কিপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি তারকা প্রার্থীর। হারতে হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৬ ভোটে। বঙ্কিপুর আসন থেকে জয়ী হলেন বিজেপি নেতা নিতিন নবীন। এই নির্বাচনে নিতিন পেয়েছেন ৮৪,০৬৮ ভোটে। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী লব পান ৪৪,০৩২ ভোট। বঙ্কিপুর ছিল এবারের বিহার ভোটের অন্যতম হাই প্রোফাইল আসন।
পাপ্পু যাদব
জন অধিকার পার্টির (JAP)এর সভাপতি এবং প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটিক গঠবন্ধন (PDA)-এর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ রাজেশ রঞ্জন যাদব ওরফে পাপ্পু যাদবও এবার ভোটের ময়দানে পরাজিত হয়েছেন। মধেপুরা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাপ্পু যাদব মোট ২৬,৪৬২টি ভোট পান। তিনি ভোটের লড়াই তিন নম্বরে শেষ করেন। আরজেডির চন্দ্রশেখর এই আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।
লাভলি আনন্দ
আরজেডি তারকা প্রচারক এবংবাহুবলী আনন্দ মোহন সিং-এর স্ত্রী, লাভলি আনন্দও এবারের নির্বাচনে পরাজিতদের তালিকায় রয়েছেন। সহরসা আসন থেকে বিজেপির অলোক রঞ্জন পান ১,০৩,৫৩৮ টি ভোট, অন্যদিকে লাভলির ঝুলিতে আসে ৮৩,৮৫৯টি ভোট। সবমিলিয়ে ১৯,৬৭৯টি ভোটে হার মানতে হয় লাভলিকে। তবে লাভলি না পারলেও তাঁর ছেলে চেতন আনন্দ শিবহর আসন থেকে জিততে সমর্থ হয়েছেন।
সুভাষিনী বুন্দেলা
শরদ যাদবের কন্যা সুভাষিনী বুন্দেলাও নির্বাচনে পরাজিতদের তালিকায় রয়েছেন। নির্বাচনের আগে সুভাষিনী কংগ্রেসে যোগ দেন। এর পরে কংগ্রেস থেকে তাঁকে বিহারীগঞ্জ আসনের টিকিট দেওয়া হয়। তবে তিনি জেডিইউ প্রার্থী নিরঞ্জন কুমার মেহতার কাছে হেরে গেছেন। নিরঞ্জন কুমার মেহতা মোট ৮১,৫৩১ ভোট পেয়েছেন, আর সুভাষিনী বুন্দেলা পান ৬২,৮২০ টি ভোট।