২০২০-এর শেষ লগ্নে কোভিডটিকার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। কিছু টিকা দাবিদার তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেছে। আবার কয়েকটি টিকা দাবিদার শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে। এরই মধ্যে অন্যতম হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’।
ইতিমধ্যে আহমেদাবাদের সোলা সিভিল হাসপাতালে শুরু হয়েছে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। এই সরকারি হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের ৫০০ ডোজ এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল।
কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে তৈরি করোনার টিকা। এই উদ্যোগে ভারত বায়োটককে সাহায্য করছে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিও। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-ও সহযোগিতা করেছে। এই টিকা তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশের ২৫টি কেন্দ্রে প্রায় ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার পরীক্ষা চলবে। তার মধ্যে নতুন করে বেশ কয়েকটি রাজ্যেও পরীক্ষা শুরু হবে।
প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় এক হাজার জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপরে এই টিকা পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে তৃতীয় দফার পরীক্ষায় ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’। বেলেঘাটার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজিসেস (নাইসেড)-এ এই ভ্য়াকসিনের তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল হবে।
নাইসেড সূত্রে খবর, এক হাজার ডোজ কোভ্যাক্সিন পাঠিয়েছে ভারত বায়োটেক। সেগুলিকে মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই ওই ভ্যাকসিন স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে বাংলায় কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হতে চান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য মানুষের প্রয়োজনে কোনওরকম কাজে লাগতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবেন।