দিল্লিতে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন। মন কৃষক আন্দোলন এযাবৎকাল তো বটেই, অদূর অতীতেও কেউ কখনও দেখেছে কিনা মনে করতে পারছেন না।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকেও আরও কৃষকরা দিল্লিতে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দিল্লির রাস্তায় কৃষকদের অবরোধ আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে ৬ মাস নিজেদের আন্দোলন চালাবেন কৃষকেরা, এখবর ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে।
পঞ্জাব ও হরিয়ানাতে শত শত কৃষক জনগণের কাছ থেকে রেশন, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করছেন। এই পণ্যগুলি ট্র্যাকটরে বোঝাই করে দিল্লির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে।
নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনে গত কয়েক দিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি পঞ্জাব-হরিয়ানায়।
নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরোধিতার প্রধান মুখ শাহিনবাগের দাদি বিলকিস বানো এবার কৃষক আন্দোলনের অংশ হয়ে উঠেছেন।
কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবারও সিঙ্ঘু বর্ডারে পৌঁছন তিনি। তাঁকে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে আটক করে পুলিশ।
পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে কৃষক আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চাবের বাসিন্দা ৮০ বছরের দুই প্রবীণাও। ভাথিন্ডার মাহিন্দর কৌর এবং বার্নালার জঙ্গির কৌর কৃষক আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন। এই বয়সেও তাঁদের উৎসাহ সবাইকে অনুপ্রাণিত করছে।
এদিকে মঙ্গলবার কৃষক ও সরকারের মধ্যে হওয়া আলোচনায় জট কাটেনি। দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কৃষক সংগঠন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ৪ ঘন্টা ধরে বৈঠক চললেও কোনও ফল মেলে না। তবে ৩ ডিসেম্বর ফের বৈঠকে বসবেন কৃষক সংগঠন ও কেন্দ্র।