রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইজরায়েল-হামাস-হিজবুল্লার মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে। দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকম মেরুকরণ এবং তানাশাহি পরিস্থিতি। এরই মধ্যে ভারতীয় নৌসেনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইন্ডিয়ান নেভি লাগাতার নিজেকে আপডেট করতে শুরু করেছে। ফাইটার জেট নিয়ে ড্রোন পর্যন্ত জঙ্গি জাহাজ থেকে নিয়ে সাপোর্টশিপ পর্যন্ত প্রত্যেক হাতিয়ারকে শান দিতে শুরু করেছে। ভারতীয় নৌসেনা নিজেদের শক্তি আপগ্রেড করার জন্য, যে কোনও সময় যে কোন যুদ্ধে পৌঁছে ভারতীয় নৌসেনা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিতে যাতে পারে, সেই জন্য এই মক ট্রায়াল করছে।
রাফায়েল এম ফাইটার্স জেট
দক্ষিণ এশিয়ার কথা যদি বলি তাহলে ভারত এবং চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশের কাছে এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার নেই। ভারত নিজের ক্যারিয়ারের রাফায়েল এম ফাইটার জেট মজুত করতে শুরু করেছে। এই ফাইটার জেট ৫০.১ ফিট লম্বা, অর্থাৎ সুখোই এবং চিনের j15 এর চেয়ে আকারে ছোট এটি এক বা দুইজন পাইলট মিলিয়ে ওড়াতে পারে।
রাফায়েলের ওজন শুধুমাত্র ১৫ হাজার কেজি। এটি হালকা মেটেরিয়াল মাল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার জেট ফিউল ক্যাপাসিটি প্রায় ১১ হাজার ২০২ কেজি অর্থাৎ এটি বেশিক্ষণ উড়তে এবং আকাশে ডগ ফাইট করতে পারে। এর অধিকতম গতি ২২০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। কমব্যাট রেঞ্জ ১৮৫০ কিলোমিটার। এর ফ্রি রেঞ্জ ৩৭০০ কিলোমিটার অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি।
সর্বাধিক ৫২ হাজার ফিট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে রাফাল। ৩০ মিলিমিটার এর অটো ক্যানন গান লাগানো রয়েছে। এছাড়া ১৪ হাই পয়েন্টস রয়েছে। এর মধ্যে তিনভাবে এটি আকাশ থেকে আকাশ পর্যন্ত শত্রুপক্ষের ওপর আক্রমণ করতে পারে। আকাশ থেকে মাটিতে মিসাইল ছড়তে পারে এবং পরমাণু মিসাইল বা এর মিশ্রণ নিয়ে অ্যাটাক করতে পারে। রাফায়েল এম ৪.৫ জেনারেশনের আধুনিক ফাইটার জেট। যেটি বিমান বাহক যুদ্ধজাহাজে লাগানো থাকে। এটি না পাকিস্তানের কাছে আছে, না চিনের কাছে আছে।
এমকিউ 9 বি ড্রোন
এম কিউ ৯বি ধরনের রিপার বা প্রিডেটার ড্রোন বলে। এটি শত্রুপক্ষের উপর লুকিয়ে নজর রাখতে পারে। প্রয়োজন পড়লে সেটি মিসাইলে হামলা করার মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অভিসন্ধি বাঞ্চাল করে দিতে পারে। আমেরিকা এটি ইন্টার কিলার ইউএবি শ্রেণিতে রাখে। এটি লং রেঞ্জ ড্রোন। যেটি আকাশ থেকে মাটিতে মিসাইল লাগানো থাকে।
এই পাইলটবিহীন ড্রোনের রেঞ্জ ১৯০০ কিলোমিটার। এটি নিজের সঙ্গে ১৭০০ কেজি ওজনের হাতিয়ার নিয়ে উড়তে পারে। এটি চালানোর জন্য, দুটো কম্পিউটার অপারেটর প্রয়োজন হয়। যারা গ্রাউন্ড স্টেশনে বসে ভিডিও গেম এর মতো এটিকে চালাতে পারে। এর দৈর্ঘ্য ৩৬ ফিট এবং ৬৫.৭ ফিট উচ্চতা ১২.৬ ফিট।
এর গতি ৪৮২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। যা ৫০ হাজার ফিট উচ্চতা পর্যন্ত শত্রুপক্ষকে দেখে তার ওপরে মিসাইল হামলা করতে পারে। যদিও এটি সাধারণভাবে ২৫ হাজার ফিট এর উচ্চতা ওড়ানো হয়। এর মধ্যে সাতটি হার্ড পয়েন্ট থাকে। দুটি ইনভোর্স স্টেশন দুটো মিডিল স্টেশন একটি আউট বোর্ড স্টেশন থাকে।
কালোয়াড়ি ক্লাস সাবমেরিন
কালোয়াড়ি ক্লাস সাবমেরিন নৌসেনাতে রয়েছে এবং আরও কিছু তৈরি হচ্ছে। এই সাবমেরিন সমুদ্রের নিচে যুদ্ধ সাবমেরিন যুদ্ধ ও গোপনে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সমুদ্রে বারুদের সুরঙ্গ তৈরি করা এলাকায় নজর দাঁড়িয়ে রাখার মত কাজ করতে পারে।
দৈর্ঘ্য ২২১ ফিট, বিম ২০ ফিট, উচ্চতা ৪০ ফিট। এর মধ্যে ফোর এমটিইউ টুয়েলভ ৩৯৬৭ এস ই ৮৪ ডিজেল ইঞ্জিন লাগানো রয়েছে। এছাড়া ৩৬০ ব্যাটারি সেলস থাকে। জলের উপরিতলের গতি কিলোমিটার ২৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা জলের নিচে ৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ফিরে চলে। এর মধ্যে ৮ জন সেনা অফিসার ৩৫ জন নাবিক থাকতে পারে। এর ভেতরে এন্টি টরপিড কাউন্টার মেজার সিস্টেম লাগানো রয়েছে।
এর ৫ প্লেট দরকার এটি আসলে যুদ্ধের সময় জঙ্গি জাহাজের জন্য তৈরি করা হয়। সঙ্গে এটি রিফিউলিং রেস্কিউ এর মত কাজ করতে পারে। যার ডিসপ্লেসমেন্ট ৪৫ হাজার টন দৈর্ঘ্য ও ৭৫৮ ফিট সর্বাধিক ৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে সমুদ্রে চলতে পারে। যদি ২৮ থেকে ২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চলে, তাহলে এটি ২২ হাজার কিলোমিটার যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে ২০৩০ পর্যন্ত ভারতের কাছে এই ফ্লিট চলে আসবে।