সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য আর সেনা পাঠাতে হবে না। একটি ড্রোনই এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। আর তা শত্রুর ঘরে ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারবে। এই ড্রোনগুলোকে বলা হয় সুইসাইড ড্রোন। সেনাবাহিনীর ভাষায় এর নাম লোটারিং মিউনিশন। (ছবি: ANI)
সম্প্রতি, ভারতীয় সেনাবাহিনী চিন সীমান্তের কাছে লাদাখের নুব্রা উপত্যকায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লোটারিং যুদ্ধাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। নাগপুর-ভিত্তিক সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বেঙ্গালুরুর জেড মোশন অটোনোমাস সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সহযোগী ইকোনমিক্স এক্সপ্লোসিভস যৌথভাবে এই অস্ত্র তৈরি করেছে। (ছবি: জেড মোশন)
সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর (আর অ্যান্ড ডি) ডঃ মনজিৎ সিং aajtak.in-কে বলেন, এই অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্য হল ভারতকে অস্ত্রের বাজারে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। উভয় কোম্পানি এক সঙ্গে তিন ধরনের লটারিং যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে।
প্রথম LM0, LM1 এবং Hexacopter। গত মাসে, ২১ থেকে ২৩ মার্চ, তিনটি অস্ত্রই নুব্রা উপত্যকায় সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। LM0 এবং LM1 উভয়ই ৬০ থেকে ৯০ মিনিটের জন্য উড়তে পারে। (ছবি: জেড মোশন)
ড: সিং জানান, পৃথিবীতে এই প্রথম যখন ১ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত ওয়ারহেড-সহ একটি ম্যান-পোর্টেবল ফাইটার মিউনিশন ৪৫০০ মিটার অর্থাৎ প্রায় ১৫০০০ ফুট উপরে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এত উচ্চতায় উড়ে এই ড্রোন সরাসরি শত্রুর ট্যাঙ্ক, বাঙ্কার, সাঁজোয়া যান, অস্ত্রের ডিপো বা সামরিক গোষ্ঠীকে আক্রমণ করতে পারে। তাদের নষ্ট করতে পারে। আর্মি ডিজাইন ব্যুরো সহ কোম্পানির কর্মকর্তারা অস্ত্রটি পরীক্ষা করেছিলেন। এতে LM0 এবং LM1 ফিক্সড উইংস ড্রোন রয়েছে। একটি শত্রু ঘাঁটি তার পেটে বিস্ফোরক রেখে আক্রমণ করা যেতে পারে। (ছবি: জেড মোশন)
LM0 হল একটি ড্রোন যা হাত দিয়ে বা ট্রাইপড দিয়ে ওড়ানো যায়। এর ওজন ৬ কেজি। এটি একবারে ৬০ মিনিটের জন্য উড়তে পারে। এর অপারেশনাল রেঞ্জ দুটি ভাগে বিভক্ত। ১৫ কিমি হল ভিডিও লিঙ্ক রেঞ্জ এবং ৪৫ কিমি হল GPS টার্গেট রেঞ্জ৷
হাতে ধরে উরি ছবির গরুড় ড্রোনের মতো অবতরণ করানো যেতে পারে। এতে এক কিলোগ্রাম ওজনের একটি ওয়ারহেড লোড করা যায়। (ছবি: সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ)
ইসরায়েল ও পোল্যান্ড থেকে আমদানি করা বিমানের তুলনায় এই অস্ত্রের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কম হবে। সম্প্রতি, সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ জেড মোশন অটোনোমাস সিস্টেমে ৪৫ শতাংশের ইক্যুইটি শেয়ার কিনেছে। এর মাধ্যমে সোলার কোম্পানি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) তৈরির সুযোগ পাবে। এর পাশাপাশি কোম্পানিটি কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমও তৈরি করবে, যাতে শত্রুর ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা করা যায়।