অতিমারীর এক বছরের মধ্যে ফের ভারতে দাপট বৃদ্ধি করল করোনাভাইরাস। এবারের সংক্রমণের প্রভাব আরও মারাত্মক। দেড় লক্ষ ছুঁইছুঁই হয়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এই আবহে ফের অনিশ্চয়তার দিকে যেতে চলেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন। দিল্লি, মহারাষ্ট্রে একাধিক জায়গায় বন্ধ হচ্ছে আর্থিক ক্ষেত্র। ফলে ফের কাজ ছেড়ে নিজ রাজ্যে বাধ্য হচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
দিল্লির আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাসে দেখা গেল পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়। রাজধানী প্রবল বেগে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা ভাইরাস। ফলে সেখানে নাইট কার্ফু জারি করেছে আম আদমি সরকার।
সংক্রমণে রাশ টানতে দিল্লিতে জারি হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতে নিজ রাজ্যে ফিরতে উদ্যোগী হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। গত বারের পরিস্থিতি বিচার করেই এবার করোনা সংক্রমণের শুরুতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমিকরা।
দিল্লি ছাড়াও মুম্বইয়ের চিত্রও এক। ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয় এবং পরভূমে আটকে থাকার ভীতি থেকেই আগেভাগে নিজের রাজ্যে ফিরে আসার ধুম পড়েছে মহারাষ্ট্রে। আনলক পর্যায়ে সকলেই ভিন রাজ্যে কাজের জন্য আসে।কিন্তু কোভিডের দাপট ফের বাড়তেই আর দেরি করতে নারাজ শ্রমিকরা।
মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং অন্যান্য রাজ্য নাইট কার্ফু এবং সপ্তাহান্তে লকডাউন চালু করেছে ইতিমধ্যেই। এছাড়াও একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে। তবে ট্রেন, বাস বন্ধ হওয়ার আগে তাই নিজের নিজের রাজ্যে ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিকরা।
করোনার প্রকোপ প্রবল বেগে বাড়ছে দেশে। শনিবার এক দিনে আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার। বেড়েছে মৃত্যুর হারও। অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ হাজার।
মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি জটিল হতেই নাইট কার্ফু জারি করে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে সপ্তাহান্তে জারি হয় নাইট কার্ফু। কিন্তু সে বিধি জারি করেও রাশ টনা সম্ভব হয়নি সংক্রমণে।