সূর্যের চারপাশে সবসময় চক্কর কাটে অজস্র ধূমকেতু। কখনও কখনও কক্ষচ্যুত হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে ধূমকেতু। SETI ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, এরকমই এক ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যেটি প্রায় ৪ হাজার বছর পর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এর আগে ২০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে এটি পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল।
SETIও CAMS-এর বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই ধূমকেতুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়া নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের মতে, এই ধূমকেতু পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।
CAMS-এর সাহায্যে এই ধূমকেতু কোন দেশে আছড়ে পড়তে পারে, কোন রাস্তা ধরে পৃথিবীতে আসতে পারে ইত্যাদি গবেষণা চলছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট গবেষক Peter Jenniskens জানান, সাম্প্রতিক কালে অস্ট্রেলিয়া, চিলি ও নামিবিয়াতে উল্কাপাতের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এতদিন পর্যন্ত তাঁরা জানতেন মাত্র ৫টি ধূমকেতু পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটে। তবে এখন জানা গিয়েছে, সেই সংখ্যাটা ৯। আর তা ১৫ও হতে পারে। তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চলছে।
গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, ধূমকেতু সাধারণত ছোটো আকারের হয়। ফলে তীব্র গতিতে নিজের কক্ষপথে চলার সময় তার থেকে আগুন ছিটকে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে। এটি খুব সাধারণ ঘটনা। তবে কোনও কোনও ধূমকেতু আকারে বড়ও হতে পারে, যা পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
Peter Jenniskens আরও জানান, CAMS-এর সঙ্গে এই নিয়ে যৌথ গবেষণা চলছে। ধূমকেতু কতগুলি আছে, তাদের গতিবিধি কেমন, কবে কোনটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে-এই সব দেখা হচ্ছে। যাতে পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
গবেষকদের মতে, এমন অনেক উল্কাপিণ্ড রয়েছে যেগুলি পৃথিবীর মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই বায়ুমণ্ডলে উধাও হয়ে যায়।