নাগাড়ে বৃষ্টি, আকাশের মুখ ভার আর স্যাঁতস্যাঁতে জামাকাপড়। এবার যেন বর্ষা পিছুই ছাড়ছিল না রাজ্যবাসীর। তবে কেবল বঙ্গই নয় গোটা দেশেই দীর্ঘ ছিল এবারের বর্ষাকাল। অবশেষে এল সেই বিদায় বেলা। দেশ থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষাকাল। ইতিমধ্যেই তারিখ জানিয়ে দিয়েছে IMD।
সাধারণত দেশে বর্ষা শুরু হয় ১ জুন এবং গোটা দেশে তা ঢোকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে। উত্তর পশ্চিম ভারত থেকেই বর্ষা ধীরে ধীরে বিদায় নিতে শুরু করে। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই বিদায়ের পালা শুরু হয়। সমাপ্তি ঘটে ১৫ অক্টোবর।
IMD একটি বিবৃতিতে শুক্রবার জানিয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম বর্ষা বিদায়ের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম রাজস্থানে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৮ জুলাই নির্ধারিত দিনের ৯ দিন আগেই এবার বর্ষা গোটা দেশে ঢুকে গিয়েছিল। ২০২০ সালের পর এই প্রথম এত দ্রুত বর্ষা ঢোকে ভারতে।
বর্ষা এবাছর কেরলে প্রবেশ করে ২৪ মে। ২০০৯ সালের পর যা সর্বপ্রথম।
গোটা দেশে এবছর বর্ষায় বৃষ্টি হয়েছে ৮৩৬.২ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিক ৭৭৮.৬ মিলিমিটারের থেকে প্রায় ৭% বেশি।
মৌসম ভবনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশ বৃষ্টিপাত হলে তা স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। দেশে আসলে যথেষ্ট বৃষ্টিপাতের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এবছর। সে কারণেই সদয় হয়েছে বর্ষা।
এবছর একের পর এক নিম্নচাপের জেরে বাংলা তথা গোটা দেশেই বর্ষার বৃষ্টির দাপট দেখা গিয়েছে। বহু বছর এমন বৃষ্টি হয়নি। পঞ্জাবে গত ২৫ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি। দিল্লি এবং উত্তর ভারত জুড়েই প্রবল বৃষ্টির সাক্ষী হয়েছে মানুষ।
তবে বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিতে এখনও বেশ কিছুটা দেরি রয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় হয়েছিল ১৪ অক্টোবর। এ বছরও ১৫ অক্টোবরের আগে বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দুর্গাপুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে। নিম্নচাপ, ঘূর্ণবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার সাঁড়াশি আক্রমণ রয়েছে পুজোর আগে। যার জেরে দেবীপক্ষের আগেই বাংলায় ফের ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।