উত্তরাখণ্ড বৃষ্টি, ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ধ্বংসের ভয়ঙ্কর দৃশ্য প্রত্যক্ষ করছে। রাজ্যের অনেক জায়গায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা ৪৭ পৌঁছেছে। শুধু নৈনিতালে ২৫ জন মারা গেছেন। একই সময় প্রচুর মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উত্তরাখণ্ডে সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ।
ভূমিধস এবং মেঘ ফাটার কারণে আসা বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তথ্যানুযায়ী, কুমাউনে জলের স্তর কমছে কিন্তু রাস্তা খুলতে সময় লাগবে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অনেক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে আছেন। এসডিআরএফ (SDRF) এবং এনডিআরএফ (NDRF)-এর সঙ্গে পুলিশের দলগুলিও মানুষকে উদ্ধারে নিয়োজিত রয়েছে।
রাজ্যে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টারকে কাজে লাগান হয়েছে। এর মধ্যে দুটি নৈনিতাল জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে, যা মেঘ বিস্ফোরণ এবং ভূমিধসের কারণে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে সেখানে রাস্তা থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কারের কাজ চলছে।
রামনগরে আর্মি হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুই ডজনেরও বেশি গ্রামবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পান্তনগরের তিনটি স্থানে আটকা পড়া ২৫ জনকে উদ্ধারের জন্য বিমান বাহিনীকে ধ্রুব হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে হয়েছিল। নৈনিতাল যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু ভূমিধসের ফলে ধ্বংসস্তূপের কারণে পর্যটন স্পটটি রাজ্যের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে তাদের নিরাপদে বের করে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সাথে, চার ধাম যাত্রীদের কাছে আবারও আবেদন করা হচ্ছে যে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তারাযেখানেই রয়েছেন সেখানেই থাকুন।
উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমারের মতে, এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, গাড়োয়ালের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্ধ রাস্তাগুলো ধীরে ধীরে আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে। চার ধাম যাত্রাও শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে অমিত শাহের উত্তরাখণ্ড সফর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় উত্তরাখণ্ড বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন।
নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার কুমায়ুন এবং গাড়োয়ালে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে দেখা করেছিলে তিনি। যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে চার লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।