ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) বৈঠকে জোর বাক বিতণ্ডা। শুক্রবারের বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে ১০ বিরোধী সাংসদকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈঠক মুলতুবি রাখা হয়েছে।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের মধ্যে রয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ জাওয়াইদ, এ রাজা, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, নাসির হুসেন, মহিবুল্লাহ, এম আবদুল্লা, অরবিন্দ সাওয়ান্ত, নাদিমুল হক এবং ইমরান মাসুদ। বিরোধীদের অবঞ্জা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের সমালোচনা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে জমিদারি চালানোর অভিযোগ এনেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
কল্যাণ বলেন,'২১ জানুয়ারি সেশনের পরে চেয়ারম্যান সদস্যদের জানিয়েছিলেন যে ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি বৈঠক হবে। অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবাদ করেছিলেন এবং একটি চিঠি লিখেছিলেন যে আমরা ৩০ বা ৩১ জানুয়ারির পরে সভা করার জন্য অনুরোধ করছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাদের কথা শোনেননি। তাই আমরা আমাদের সব কর্মসূচি স্থগিত করে এসেছি। গতকাল মধ্যরাতে আমরা বার্তা পেয়েছি যে এজেন্ডা পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের জানানো হয়েছিল যে বৈঠকটি ধারা অনুসারে চলবে। ২৪ ও ২৭ তারিখে মিটিং হবে কিন্তু ২৫ জানুয়ারি নয়। ভিতরে একটি অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। যখন কাজ চলছিল তখন তিনি কল রিসিভ করতে থাকেন এবং তিনি নিজের মতে কাজ করেন। তিনি কারোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন। যখন আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, নিশিকান্ত দুবে যিনি সাসপেন্ড করার জন্য বিখ্যাত, তিনি সাসপেন্ড করার প্রস্তাব তোলেন। তারপর চেয়ারম্যান ১০ সাংসদকে সাসপেন্ড করেন। তাঁরা চেয়েছিলেন আলোচনা কোনও বিরোধিতা ছাড়াই চলুক।'
এদিকে, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য বিরোধী সাংসদদের নিন্দা করেছেন। তিনি বিরোধী সাংসদদের সাময়িক সাসপেন্ড করার প্রস্তাবও উত্থাপন করেছিলেন। এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কমিটি। নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, 'এটা বিরোধী দলের লোকেদের চিন্তাভাবনা, বিশেষ করে ওয়াইসি, তাঁর দাবি, আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনিনি এবং মিরওয়াইজ উমর ফারুককে ডাকি। তাঁর কথা শোনার জন্যই জেপিসি চেয়ারম্যান সভা স্থগিত করেন। আজ বিরোধীদের চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে। তারা মুত্তাহিদা মজলিস-ই-ওলামার আলেম মীরওয়াইজ উমর ফারুকের সামনে হট্টগোল সৃষ্টি করেছে এবং দুর্ব্যবহার করেছে, এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এমনকি যদি আজ এবং আগামীকাল আলোচনা করার জন্য একটি সভা থাকত, তবে ২৭ জানুয়ারি বা ২৮ জানুয়ারিতে আরেকটি সভা হত। ২৭ জানুয়ারি একটি মিটিং ইতিমধ্যেই নির্ধারিত ছিল।'