Maoist in Chhattisgarh: ৮ ঘণ্টার এনকাউন্টার, কম করে ১২ জন মাওবাদী খতম বিজাপুরের জঙ্গলে

রাতভর চলে সংঘর্ষ। বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন মাওবাদীর। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ছত্তীশগড়ে ১০০ জনের বেশি মাওবাদী খতম করেছে বাহিনী। ২০২৩ সালের চেয়ে সংখ্যাটা বেশি।

Advertisement
৮ ঘণ্টার এনকাউন্টার, কম করে ১২ জন মাওবাদী খতম বিজাপুরের জঙ্গলেMaoist killed in Chattisgarh
হাইলাইটস
  • ৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে এনকাউন্টার
  • মৃত্যু হয়েছে ১২ জন মাওবাদীর
  • গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী

ভোটের আবহে ছত্তীশগড়ে মাওবাদী (Maoist) দমনে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। ছত্তীশগড়ের বিজাপুরে একটি এনকাউন্টারে একদিনে ১২ জন মাওবাদীকে খতম করল নিরাপত্তাবাহিনী। 

শুক্রবার রাতভর বিজাপুরের জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই চলে। বাস্তার এলাকায় মাওবাদীদের কোর জোন বলেই পরিচিত। শুক্রবার রাতে বাস্তারের জঙ্গলে মাওবাদী দমনে অভিযান চালায় ৮০০ জনের একটি বাহিনী। যার মধ্যে ছিল রাজ্য পুলিশ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও বাস্তারিয়া ব্যাটেলিয়ান, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী ও কোবরা বাহিনী। 

রাতভর চলে সংঘর্ষ। বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন মাওবাদীর। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ছত্তীশগড়ে ১০০ জনের বেশি মাওবাদী খতম করেছে বাহিনী। ২০২৩ সালের চেয়ে সংখ্যাটা বেশি। জঙ্গল লাগোয়া পেড়িয়া গ্রামে মাওবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে বলে পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল। সেই মতো গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বাহিনী। টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও।

গভীর জঙ্গলে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে নিরাপত্তা বাহিনীর। অভিযান শেষে পুলিশের তরফে জানানো হয়, বিজাপুরের অভিযানে ১২ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সংঘর্ষ স্থল থেকে। তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।

 চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৯১ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল ছত্তিশগড়ে। এর পর এই অভিযানে সাফল্যের পর মাওবাদী মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১০৩-এ। যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে ১১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল এই রাজ্যে। তার আগে ২০১৬ সালে ১৩৪ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়।

POST A COMMENT
Advertisement