
ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নকশালবিরোধী অভিযানের বড়সড় সাফল্য মিলল। একযোগে ৪১ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁরা সামাজিক মূলধারায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ১২ জন মহিলা এবং ২৯ জন পুরুষ। যাদের মধ্যে ৩২ জনের নামে মোট ১.১৯ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা ছিল।
‘পুনা মার্গেম’ প্রকল্পের প্রভাব
রাজ্য সরকারের পুনর্বাসন প্রকল্প ‘পুনা মার্গেম: পুনর্বাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন’-এর আওতায় এই আত্মসমর্পণ হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক উদ্যোগ, নিরাপত্তা বাহিনীর চাপ এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্প মিলিয়েই এই সাফল্য এসেছে।
কোন কোন ইউনিটের সদস্য ছিলেন তারা?
কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আত্মসমর্পণকারী ৪১ জনের মধ্যে ৩৯ জন ছিলেন মাওবাদীদের দক্ষিণ সাব-জোনাল ব্যুরোর সদস্য। বাকিরা সক্রিয় ছিলেন ধামতারি-গরিয়াবন্দ-নুয়াপাড়া ডিকেএসজেডসি, তেলেঙ্গানা স্টেট কমিটি এবং মাওবাদী সংগঠনের আরও কয়েকটি বিভাগে
এদের মধ্যে আরও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন পিএলজিএ ব্যাটালিয়ন নং ১-এর ক্যাডার, এরিয়া কমিটির সদস্য, প্লাটুন কর্মী, মিলিশিয়া কমান্ডার, আরপিসি-সংশ্লিষ্ট জনতা সরকারের সদস্য, ডিএকেএমএস এবং কেএএমএস সংগঠনের কর্মী।
কেন আত্মসমর্পণ করলেন?
নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান, ডিআরজি, বাস্তার ফাইটারস, এসটিএফ, কোবরা, সিআরপিএফ-এর পাশাপাশি সরকারের পুনর্বাসন নীতি এবং ‘নিয়াদ নেল্লা নার’ প্রকল্প যৌথভাবে মাওবাদীদের আত্মসমর্পণে উৎসাহিত করেছে। বিজাপুর সেক্টরের আইজি বিএস নেগি এবং এসপি ড. জিতেন্দ্র কুমার যাদব-এর উপস্থিতিতে এই গণ আত্মসমর্পণ সম্পন্ন হয়।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার ৫২৮ জন, আত্মসমর্পণ ৫৬০ জন, নিহত ১৪৪ জন। ২০২৪ সালে গ্রেফতার ১,০৩১ জন, আত্মসমর্পণ ৭৯০ জন, নিহত ২০২ জন।
‘শান্তির পথে বড় পদক্ষেপ’
প্রশাসনের মতে, এত বড় সংখ্যায় মাওবাদীদের অস্ত্রসমর্পণ বাস্তার অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী শান্তি, উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক সংলাপের দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।