5 Foreigner Arrested: নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মাটিতে পা রেখেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৫ বিদেশি নাগরিক। শনিবার রাতে বিহারের মোতিহারি জেলার ঘোরাসহন বাসস্ট্যান্ডে এসএসবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে চার সুদান ও এক বলিভিয়ার বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম, আবদুল ফিতহ (৪৪), রমা সিদ্দিকী (৩৮), আলি আব্দুল গফফর (২৭), আহমদ ডোফবালা (৩৭), চারজনই সুদান থেকে এসেছেন। বলিভিয়ার নাগরিকের নাম মিগুয়েল সোলানো চাবেজ (৩২)। জানা গিয়েছে, সকলেই নেপালের কাঠমান্ডু থেকে গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। গন্তব্য ছিল পাটনা।
ঘোরাসহন বাসস্ট্যান্ডের এক কোণে অন্ধকারে বসে ছিলেন তাঁরা। সেখানেই হানা দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। হাতে ছিল বাস টিকিটও। কিন্তু তার আগেই শুরু হয় তল্লাশি। ধরা পড়ে যান সকলে।
তদন্তে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা
সুদানের চার নাগরিক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁরা হায়দরাবাদের এক কলেজের ছাত্র। তবে, বৈধ পথ ছেড়ে কেন সীমান্ত ঘুরে প্রবেশ, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের ম্যারাথন পর্ব। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তদন্তে নেমেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এই অনুপ্রবেশ নিছক যাত্রীপরিবহন না এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও উদ্দেশ্য।
উর্দু বই ও সন্দেহজনক নথি
মোটামুটি জিজ্ঞাসাবাদের পরেই উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলিভিয়ার নাগরিক মিগুয়েল সোলানোর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র ও উর্দু ভাষায় লেখা বই ও নোটস। যদিও তাতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা বিশ্লেষণ করছে পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
মোতিহারির পুলিশ সুপার স্বর্ণপ্রভাত জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে যা পাওয়া গিয়েছে, তা সন্দেহজনক। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ধৃতদের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রবিবারই তাদের কিশনগঞ্জ আদালতে পেশ করা হয়, সেখান থেকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে মোতিহারি জেলে।
তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, এই বিদেশিরা একে অপরের পরিচিত কি না, তাঁদের ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং হায়দরাবাদে ছাত্র হওয়ার দাবি কতটা সত্য।
নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নজরদারি। গোয়েন্দারা সতর্ক, কারণ আগেও এই সীমান্ত দিয়ে নানা ধরনের সন্দেহভাজন যাতায়াতের নজির রয়েছে। ফলে এই ঘটনাকে নিছক অবৈধ অনুপ্রবেশ হিসেবে দেখছে না প্রশাসন।