গুজরাটের সুরাটে মর্মান্তিক ঘটনা। আত্মহত্যা করলেন একই পরিবারের ৭ সদস্য। চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সুরাটে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে একই পরিবারের এতজনের আত্মহননের ঘটনা কার্যত বিরল। এর পিছনে অন্য় কোনও রহস্য আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শনিবার গুজরাটের সুরাটে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তুমুল আর্থিক অনটনে ভুগছিল এই পরিবার। যদিও ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
এই বিষয়ে সুরাটের ডিসিপি রাকেশ বারোট বলেন, 'একই পরিবারের সাতজন সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা একটি সুইসাইড নোট লিখেছেন। তবে আমরা গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি।'
আত্মহত্যার কারণ কী? এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিক জানান, 'সম্ভবত আর্থিক সমস্যা থেকেই আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে,' জানান তিনি।
এর আগে গত ২০২২ সালের জুনে মহারাষ্ট্রের সাংলিতেও একটি অনুরূপ ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের ৯ সদস্যের আত্মহত্যার ঘটনা নজর কেড়েছিল গোটা দেশের। সেক্ষেত্রেও আর্থিক অনটনই আত্মহত্যার কারণ ছিল।
সুরাটের ঘটনায় অনেকে দিল্লির বুরারি কেসের কথাও মনে করছেন। ২০১৮ সালে চুন্দওয়াত এলাকায় একই পরিবারের ১১ জন সদস্য গণআত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁদের ঘরের মধ্যে চোখ, হাত-পা বাঁধা ও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে পুলিশ খুনের মামলা নথিভুক্ত করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তদন্তে দেখা যায়, নির্দিষ্টি কিছু আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলছিলেন সেই পরিবারের সকলে। রীতিমতো জাদুবিদ্যা ও প্রেতচর্চা নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় গোয়েন্দাদের। দেখা যায়, কুসংস্কারের বশেই নিজেদের এভাবে আত্মহনন করেছিল ওই পরিবার। সেই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ফরেনসিক আধিকারিকদের একজন বলেছিলেন, 'একইসঙ্গে এতগুলি লাশ ঝুলতে দেখে তিনি বেশ ভয় পেয়েছিলেন। এত বছরের অভিজ্ঞতায় এমন দৃশ্য তিনি আগে দেখেননি।'